পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের জন্য তাদের আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। তবে তাদের আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ আয়ের চেয়ে ২১ পয়সা বেশি লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি।
এই বাড়তি লভ্যাংশ দেয়া হবে কোম্পানিটির রিজার্ভ থেকে।
২১৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে রিজার্ভ আছে ১৫৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৭ টাকার বেশি রিজার্ভ আছে। ফলে সেখান থেকে ২১ পয়সা বিতরণ করলে খুব একটা চাপ পড়বে না।
নিউজবাংলাকে লভ্যাংশের এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফারইস্ট নিটিং এর কোম্পানি সচিব শরাফুজ্জামান।
এবার কোম্পানিটি যে আয় করেছে, তার সিংহভাগেই করেছে চতুর্থ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। এর আগে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা।
গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণের পর চাপে পড়া কোম্পানিটি এবার আয় বাড়াতে পেরেছে। গত বছর শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা আয় করে ৩০ পয়সা নগদ ও ২ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে দুটি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল কোম্পানিটি।
যারা লভ্যাংশ নিতে চান তাদেরকে আগামী ১১ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করা হবে।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা আর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা।