টানা দরপতনে থাকা ব্যাংক ও বিমা খাতের পাশাপাশি বহুজাতির কোম্পানি রবির শেয়ার দরে উত্থান হলো। টানা ১৮ কর্মদিবস পর বাড়ল বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
তবে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বাড়ছিল, কমেছে তার বেশিরভাগের দর।
এতদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও বড় মূলধনি কয়েকটির দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। এবার ঘটল উল্টো চিত্র। যত কোম্পানির দর কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি। তবে কমে গেছে সূচক।
দিন শেষে দর বেড়েছে ২১৮টি কোম্পানির, কমেছে ১১৭টির, দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩৮টি। সূচক পড়েছে ৮ পয়েন্ট।
আগের দিন ১১২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর হারানোর পরও সূচক বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট।
তারও আগের দিন ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৬৯টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৩ পয়েন্ট।
বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনেও সূচক বাড়া আর বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতেও সূচক কমার বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। এটি কীভাবে হয়, সেটি বোঝার চেষ্টা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনভর উঠানামা করেছে সূচক, শেষ বেলায় পড়েছে তা
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেশি, সেগুলোর দর বৃদ্ধি হলে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয় বেশি। অন্যদিকে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় সেগুলোর দর বৃদ্ধি বা হ্রাসে সূচকে প্রভাব পড়ে কম। অন্যদিকে লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর যাই হোক না কেন, সূচকে এর কোনো প্রভাবই পড়ে না।
গত তিন সপ্তাহ ধরে বেশি দর কমেছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দর। অন্যদিকে বেক্সিমকো, লাফার্জ হোলসিম, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবানো কমিটি, ওরিয়ন ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, বেক্মিমকো ফার্মা, সাইফ পাওয়ারটেকের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ব্যাংক-বিমা, রবির শেয়ারধারীদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কাটল
এক বছরের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে যে অবিশ্বাস্য উত্থান, তাতে ব্যাংক খাতের শেয়ারদরে খুব একটা নড়চড় হয়েছে এমন নয়। তবে দর সংশোধনে এই খাতটিও বাদ যায় না। গত এক মাসে ৫ থেকে ১০ শতাংশ, ক্ষেত্রবিশেষে দর কমেছে মৌলভিত্তির এই কোম্পানিগুলোও। তবে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই খাতটি ঘুরে না দাঁড়ালে সূচকের বড় পতনই হতে পারত।
এর মধ্যে দুটি বাংকের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। গত এক মাসে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে কমে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল দিনের শুরুতে। সেখান থেকে এক টাকা বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে ব্যাংকটির।
সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে এই ১০টি কোম্পানি
অন্যদিকে দর সংশোধনেও যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর পড়েনি। বরং এক মাস আগে দাম ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম ৫০ পয়সা কমলেও দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৮০ পয়সা। আর পরের দিন বাড়ে ৭০ পয়সা। দাম দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৫০ পয়সায়।
বিমা খাতের কথা না বললেই নয়। গত জুন থেকেই ক্রমাগতভাবে দর সংশোধনের মধ্যে থাকা এই খাতটিতে বিনিয়োগকারীরা গত তিন সপ্তাহে ব্যাপক লোকসানে আছেন। কিছুটা হলেও স্বস্তি তারা পাবেন দিনের লেনদেনে।
বহুজাতিক কোম্পানি রবি বিনিয়োগকারীদের আরেক হতাশার নাম। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ও আয়ে পিছিয়ে থাকলেও কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছিল শেয়ার মূল্য। ১০টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার এক পর্যায়ে ছাড়িয়ে যায় ৭৭ টাকা। পরে সেখান থেকে যে পতন শুরু হয়, তা আর থামছিল না।
তবে গত এক মাসে দাম যতটা কমেছিল, এক দিনেই উঠে গেছে ততটা। ৪৩ টাকা থেকে পড়তে পড়তে বুধবার দাম দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়। সেখান থেকে দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকা ১০ পয়সায়।
সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল এই ১০টি কোম্পানির
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল গত কয়েকদিন ধরে উত্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম, বেক্সিমকো লিমিটেড, আইসিবি, গ্রামীণ ফোন, ওরিয়ন ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, মবিল যমুনা, বিএসআরএম লিমিটেড ও বিকন ফার্মা।
অন্যদিকে সূচকে একাই ১১ পয়েন্ট যোগ করেছে রবি। ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, ওয়ালটন, সামিট পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি সূচকে অল্প কিছু হলেও পয়েন্ট যোগ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।
দিনে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টে। মোট লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ এই একটি কোম্পানিতেই হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ২৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মায় ১৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
সূচকে অবদানে এগিয়ে রবি, পিছিয়ে লাফার্জ
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার চার কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচকে অংশগ্রহণ ছিল ১৫ শতাংশের বেশি। তারপরও শেয়ার বিক্রির চাপে নেতিয়ে যাওয়া সূচক বড় অবাদন রেখেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, যার সূচক পতনে অংশগ্রহণ ছিল ৩.৮ শতাংশ।
অন্যদিকে সূচকে শেয়ারের দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচকে এককভাবে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ ছিল টেলিকম খাতের রবির, ১১.৫৪ শতাংশ। তারপরই ছিল বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, যার অংশগ্রহণ ছিল ১.৫৬ শতাংশ। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৭ শতাংশ। সামিট পাওয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ১.০৩ শতাং।
অন্যদিকে সূচকের পতনের মাধ্যমে সূচকের লাফার্জের পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩.৩২ শতাংশ। আইসিবির অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৬ শতাংশ। টেলিকম খাতের আরেক কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ার দর কমায় সূচকে এর নেতিবাচক প্রভাব ছিল ১.০৭ শতাংশ। ওরিয়ন ফার্মার একইভাবে প্রভাব ছিল দশমিক ৭৪ শতাংশ।
অনেক দিন পর ব্যাংক-বিমার এক দিন
ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিন শেয়ারর দরের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও বেড়েছে।
আগের দিন ব্যাংক খাতে মোট লেনদেন হয়েছিল ১০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ৩টির, পাল্টায়নি ২টির।
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ৬.১৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.১৬ শতাংশ বেড়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর। এছাড়া সিটি ব্যাংকের দর ৪.৭৪ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের দর ৪.২০ শতাংশ, এমটিবির দর ৩.০৪ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার যে ছয়টি খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে
দর পতনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার দর কমেছে ৫.৫৫ শতাংশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের দর কমেছে ১.১৫ শতাংশ।
লেনদেন কমেছে বিমা খাতে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে একইভাবে ৯৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
লেনদেনে ৪৩টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ছয়টির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, একটির দর আগের মতোই আছে।
লেনদেনে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর, ৮.১১ শতাংশ। তারপরই আছে জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৩৯ শতাংশ।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫.২২ শতাংশ থেকে ৪.৭৬ শতাংশ।
করপোরেট ডিক্লারেশনের পর মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন বুধবার বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৭.৮০ শতাংশ।
তবে স্বাভাবিক অবস্থায় এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৪.০২ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৩.৬২ শতাংশ।
দরপতন ও বৃদ্ধি-দুই তালিকাতেই আছে স্বল্পমূলধনি কোম্পানি
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লোকসানি শ্যামপুর সুগার মিলের। খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ‘জেড‘ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৪ শতাংশ। এদিন এর চেয়ে বেশি দর বাড়া সম্ভব ছিল না কোম্পানিটির।
আরেক লোকাসানি সাফকো স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৬৬ শতাংশ।
মুনাফায় থাকা স্বল্প মূলধনি এএমসিএল প্রাণের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৮৩ শতাংশ।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে দুর্বল লোকসানি ও স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। যার ফলে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে অস্বাভাবিক হারে। দর বৃদ্ধি পাওয়া এমন কোম্পানির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর এখন তলানিতে।
দর পতনের শীর্ষে থাকা এইচআর টেক্সটাইলও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি। এর দর কমেছে ৭.৯৫ শতাংশ। আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের দর কমেছে ৬.৭২ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের দর কমেছে ৬.২৭ শতাংশ।
এছাড়া এ তালিকায় ছিল জেমিনি সি ফুড, এপেক্স ফুডস, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসও।
অন্যান্য খাতে লেনদেন
খাতভিত্তিক সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এদিন এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেন ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ১৩টির দর কমেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে হাতবদল হয়েছিল ৩৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এই খাতে ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১১টির দর।
প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৬টি দর বেড়েছে, কমেছে ১৫টির।
বেক্সিমকোর দরপতনের দিন লেনদেন কমেছে বিবিধ খাতেও
বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ২৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ২৫টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি সাতটর দর।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সেদিন ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।
সিমেন্ট খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এই খাতের সাতটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে তিনটির। বিনিয়োগ হয়েছে মোট ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৬টির। পাঁচটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ১৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৮০ কোটি টাকা।
বিবিধি খাতের আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ছয়টির। লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৩টি, বেড়েছে ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে মোট ৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে সাতটির, কমেছে ২টির আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। হাতবদল হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কেমেছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৪ টির। বাকি ১৭টি ফান্ডের দর পাল্টায়নি।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।