দেখতে কিছুটা খরগোশের মতো আবার কিছু হরিণের মতো। এমন প্রাণী বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি।
পাটাগোনিয়ান মারা নামের আর্জেন্টিনার এই প্রাণীটি এখন দেখা যাবে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।
খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মঙ্গলবার রাতে সাফারি পার্কে দুটি পাটাগোনিয়ান মারা হস্তান্তর করে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল নিউজবাংলাকে জানান, গত ৩ মার্চ ভারতে পাচার করার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়ার তুষখালী সীমান্ত থেকে সাতটি পাটাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করে বিজিবি। তবে তারা এগুলো কী প্রাণী তা জানত না। উদ্ধার হওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত এগুলো বিজিবির তত্ত্বাবধানে ছিল। এর মধ্যে একটির মৃত্যু হয়।
২২ আগস্ট বাকি ছয়টি পাটাগোনিয়ান মারাকে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বনবিভাগ এগুলোকে আর্জেন্টিনার পাটাগোনিয়ান মারা বলে শনাক্ত করে।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে একটি পাটাগোনিয়ান মারার জন্ম হয়। তবে একে একে মৃত্যু হয় আগের পাঁচটির।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাটাগোনিয়ান মারার বসবাস উপযোগী বেস্টনি তৈরি করে এদেরকে রাখা হয়েছে। প্রাণীগুলো সুস্থ আছে, স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে। তবে এখনও লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলোই বাংলাদেশের প্রথম পাটাগোনিয়ান মারা। এরা খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় প্রাণী। এদের সামনের পায়ের তুলনায় পেছনের পা দুটো বেশ দীর্ঘ। হেঁটে চলাফেরা করলেও প্রায়ই খরগোশ বা ক্যাঙারুর মতো লাফ দেয়। গায়ের রং সাধারণত বাদামি। তবে মাঝেমধ্যে কালোর মিশেলেও দেখা যায়।
‘পাটাগোনিয়ান মারা এক থেকে দুইবার বাচ্চা প্রসব করে। সাধারণত ২৭ ইঞ্চি দীর্ঘ হয়, ওজন ৮ থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত হয়। এদের গড় আয়ু ১৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে।’