অণু গঠনের নতুন কৌশল উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দুই বিজ্ঞানী জার্মানির বেনিয়ামিন লিজট ও স্কটিশ বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস বুধবার এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
লিজট ও ম্যাকমিলান ‘অর্গানোক্যাটালাইসিস’ নামে অণু গঠনের একটি নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন। তবে তারা পৃথকভাবে কাজটি করেন ২০০০ সালে।
নোবেল প্যানেলের সদস্য পেরনিলা উইটুং স্ট্যাফশেডে বলেন, লিজট ও ম্যাকমিলানের উদ্ভাবন ইতোমধ্যে মানবজাতিকে অনেক সুবিধা দিতে শুরু করেছে।
নোবেল পাওয়ার খবরে বিস্মিত লিস্ট বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর একটি ঘটনা। সত্যি, এটা আমি প্রত্যাশা করিনি।’
লিস্ট জানান, পরিবারের সঙ্গে আমস্টার্ডামে ছুটি কাটানোর সময় নোবেল জয়ের খবরটি তিনি পান।
জার্মান এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘একই বিষয়ে ম্যাকমিলানও যে কাজ করেছেন সেটা জানা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম অণু গঠনের কৌশলটি ‘নিছক অর্থহীন।’’
একই বিষয়ে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তিকে একইসঙ্গে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা বেশ নিয়মিত ঘটনা। বিজয়ীদের দেয়া হয়, একটি করে স্বর্ণের মেডেল এবং এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার)।
রীতি অনুযায়ী, চিকিৎসা শাস্ত্রে পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের নোবেল পর্ব শুরু হয়।
কীভাবে মানব শরীর সূর্যের উষ্ণতা ও প্রিয়জনের আলিঙ্গন অনুভব করে, তার ওপর সফল গবেষণা চালিয়ে এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পাতাপুতিয়ান।
পরের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয় পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল। মানব সভ্যতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব কেমন এবং বিভিন্ন বিষয়ের ‘কমপ্লেক্স সিস্টেম’ বুঝতে অনবদ্য অবদান রাখায় এবার পদার্থে নোবেল পান তিন বিজ্ঞানী।
তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ৯০ বছর বয়সী সুকুরু মানাবে, জাপানের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ৮৯ বছর বয়সী ক্লাউস হ্যাসেলমা ও ইতালির ৭৩ বছর বয়সী নাগরিক জিওর্জিও পারিসি।