আজ বুধবার শুভ মহালয়া। মর্ত্যে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা অর্থাৎ দেবীপক্ষের শুরু। আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু হলো। দেবী দুর্গার আগমনী বন্দনার এই আয়োজনকে বলা হয় মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর ছয় দিন আগে হয় এই মহালয়া।
সারা দেশে চণ্ডীপাঠ ও আবাহনী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালেও হয়েছে এর আনুষ্ঠানিকতা।
বরিশাল নগরীর রাধাগোবিন্দ নিবাস মন্দিরে ভোর ৬টায় মহালয়া উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে ভোর ৬টায় চণ্ডীপাঠ ও আবাহনী সংগীত পরিবেশন শুরু হয়। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলে। এরপর মহিষাসুরমর্দিনী নাটিকা উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রচুর ভক্ত উপস্থিত ছিলেন মন্দির প্রাঙ্গণে।
রাধাগোবিন্দ নিবাস পূজা উদযাপন পর্ষদের সদস্যসচিব পিন্টু দাস বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহালয়া উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তবে এবার ভোর থেকে আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলেছে। প্রচুর ভক্তে সমাগম হয়েছে এ অনুষ্ঠানে।’
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভানু লাল দে ও সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু বলেন, ‘বরিশালের শুধু একটি মন্দিরেই মহালয়া উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজন করা হয়। মর্ত্যলোকে শান্তি ফেরাতে ব্রহ্মা দেব এই দিনে দেবী দুর্গাকে মহিষাসুরকে বধের অনুমতি দেন। টানা ৯ দিন যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে বধ করেন দেবী দুর্গা।’
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এদিন কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেবী দুর্গা। মণ্ডপে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু হয় এদিন থেকে।
ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গা পূজার মূল আনু্ষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১১ অক্টোবর। বরিশাল জেলায় ৫৯০টি ও মহানগরে ৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।