বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢালাও পতনে বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির উত্থান

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:০১

গত জুলাই থেকে স্বল্প মূলধনি, লোকসানি ও দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে চলেছিল বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এমনকি বিএসইসির সতর্কতাও কানে তোলেনি তারা। আর এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে তারাই।

কেবল ১০ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকে যোগ হয়েছে ১২৬ পয়েন্ট। এর মধ্যে ৫টি কোম্পানি বাড়িয়েছে ১০১ পয়েন্ট। অথচ দিন শেষে সূচক পড়েছে ২৮ পয়েন্ট।

টানা পাঁচ কর্মদিবস বেশির ভাগ কোম্পানির দরপতনের পরও সূচক বাড়ার পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস দাম বৃদ্ধি পাওয়া ৪৮টি কোম্পানির সূচক ধরে রাখতে পারল না। এক দিনে প্রায় ৩০০ কোম্পানির দরপতনে সূচক পড়েছে এর চেয়ে বেশি।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আশা দেখানো পুঁজিবাজারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে সংশোধন শুরু হয়েছে, তা অবসানের ইঙ্গিত দিলেও যে শেষ হয়নি, তা বোঝা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহে।

আগের দিন দর বৃদ্ধির তুলনায় দ্বিগুণসংখ্যক শেয়ারের দরপতনেও সূচকে যোগ হয়েছিল ২৭ পয়েন্ট। পরদিন প্রায় সমপরিমাণ পয়েন্ট সূচক থেকে হারিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি আরও বাড়িয়েছে।

গত জুলাই থেকে স্বল্প মূলধনি, লোকসানি ও দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে চলেছিল তারা। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এমনকি বিএসইসির সতর্কতাও কানে তোলেননি তারা। আর এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে তারাই।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩৪.৯৪ পয়েন্ট। এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম ২৩.৪৮, আইসিবি ১৫.৯৭, বেক্সিমকো লিমিটেড ১৫.২৪, গ্রামীণফোন ১২.০১, বেক্সিমকো ফার্মা ৯.২, বিকন ফার্মা ৮.১৩, বার্জার পেইন্টস ২.৭৬, বিএসআরএম স্টিল ২.৭৪ ও রেনাটার দর বৃদ্ধিতে সূচক বাড়ল ২.১৭ পয়েন্ট।

অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে যেসব কোম্পানির কারণে, তার মধ্যে ১০টি কমিয়েছে ৩৫.৮২ পয়েন্ট। কোম্পানিগুলো হলো রবি, পাওয়ার গ্রিড, মবিল যমুনা, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, আইপিডিসি, আইডিএলসি ও তিতাস গ্যাস।

তবে এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সবচেয়ে বেশি হয়েছে, এমন নয়। সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়ার ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টিই স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানি।

এমন কোনো খাত নেই, যে খাতে ঢালাও দরপতন হয়নি।

দর বদ্ধিতে এগিয়ে মৌলভিত্তির কোম্পানি

গত দুই তিন মাসে আগে পুঁজিবাজারে একক ধাপটে থাকা খারাপ শেয়ার বা ‘জেড‘ ক্যাটাগরির শেয়ারকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে ‘এ‘ ক্যাটাগরির কোম্পানি।

সোমবার লেনদেনে দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে একটি ছিল জেড ক্যাটাগরির। বাকি নয়টি ছিল ‘এ‘ ও ‘বি‘ ক্যাটাগরির।

এদিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানির দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ৯.৮১ শতাংশ। শেয়ার দর ৮৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৮ টাকা ৪০ পয়সা।

কেবল পাঁচটি কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে একশ পয়েন্টের বেশি

তারপরই ছিল সিরামিক খাতের শাইনপুকুর সিরামিক, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫১ শতাংশ। এছাড়া ‘এ‘ ক্যাটাগরির লাফার্জহোলসিম, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড, আইসিবি ছিল সেরা দশে।

এ তালিকায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের বিকন ফার্মা আর এডভেন্ট ফার্মাও ছিল। যাদের শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ৪.০৭ ও ৩.১০ শতাংশ।

উৎপাদন বন্ধ জেড ক্যাটাগরির একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ৭.১৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে সিএনএ টেক্সটাইলের। চার বছর ধরে বন্ধ কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি বড় কোম্পানি।

পতন বেশি দুর্বল কোম্পানির

স্বল্প মূলধনি মুনাফায় থাকা কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে প্রভাব থাকে কম। অন্যদিকে লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা কমায় সূচকে কোনো প্রভাব একেবারেই পড়ে না।

সূচক কমায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে এই ১০টি কোম্পানি

এই ধরনের কোম্পানির মধ্যে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ৯.৬৪ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ৯.০৯ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটার ৭.০২ শতাংশ, অলটেক্স ৬.৭৪ শতাংশ, সানলাইফ ইন্ডাস্ট্রিজ ৬.৫১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিং ৬.৩১ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সচাইল ৬.২৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফ ৬.০৮ শতাংশ দর হারিয়েছে।

এর প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারদরই গত কয়েক মাসে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

লেনদেনে সেরা ওষুধ ও রসায়ন খাত

ঢালাও পতনের ভিড়েও এই খাতের কোম্পানিগুলোতে পতনের হার ছিল তুলনামূলক কম। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে ২১টির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৯টির দর।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাতবদল হয়েছে মোট ৪১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের দাম। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা একটিভ ফাইন ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৪.৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিকন ফার্মার দর ৪.০৮ শতাংশ আর এভডেন্ট ফার্মার দর বেড়েছে ৩.১১ শতাংশ।

দর কমলেও এগিয়ে প্রকৌশল ও জ্বালানি খাত

প্রকৌশল খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫টির, কমেছে ৩৭টির।

মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি ২.৭৬ শতাংশ বেড়েছে কেডিএস লিমিটেডের দর। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিএসআরএম স্টিলের দর বেড়েছে ২.৪৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইফাদ অটোর দরে যোগ হয়েছে ২.৩৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১.৩৭ শতাংশ।

সোমবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই ছয়টি খাতে

দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারানো সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিস প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। ২০১৯ সালে লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা বিতরণ না করায় কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন শেয়ারের দর কমেছে ৯.৬৪ শতাংশ।

এই খাতের বিডি অটোকারের দর কমেছে ৫.৮৩।

লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে তিনটি কোম্পানির শেয়ারের শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৯টির দর। একটির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

জ্বালানি খাতের যে তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডরিন পাওয়ারের। দাম বেড়েছে ১.৬০ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশ দর হারানো জিবিবি পাওয়ারের দর কমেছে ৭.৬৭ শতাংশ।

ব্যাংক-বিমায় পতনের শেষ নেই

আগের দিনের তুলনায় তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট হয়েছে ১২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা।

লেনদেন বাড়লেও পতন হয়েছে ঢালাও। একমাত্র মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দর ১০ শতাংশ বেড়েছে। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৭টি। আর পতন হয়েছে বাকি ২৪টির দর।

সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর। গত এক বছর ধরে এই ব্যাংকের শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। একদিনই কমে গেছে ৯.০৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এবি ব্যাংক দর হারিয়েছে ৩.২৬ শতাংশ। এছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের দর ৩.০৩ শতাংশ ও যমুনা ব্যাংকের দর কমেছে ২.৪২ শতাংশ।

বিমা খাতের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে দরপতনের হার আরও বেশি। মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বিমা খাতের চারটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ২.১১ শতাংশ। এছাড়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে সামান্য।

অন্যদিকে পতনের শীর্ষে ছিল জীবন বিমা খাতের দুই দুর্বল কোম্পানি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে সানলাইফের দর কমেছে ৬.৫১ শতাংশ আর পদ্মা লাইফের ৬.০৯ শতাংশ।

উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২৮ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ক্রমাগতভাবে দর হারানো ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে আরও ৫.৭২ শতাংশ।

আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত। বাকিগুলোতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে একটির, কমেছে ২০টির আর দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি।

আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ৩০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৪৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৭ কোটি ২০ লাখ। চারটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে বাকি ১০টির দরও।

সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রহের কেন্দ্রে আসা সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে দুটির দর বেড়েছে, কমেছে বাকি ৫টির। লেনদেন হয়েছে ১৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

এমনিতেই দর সংশোধনে থাকা বিমাখাতে দরপতন বেড়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা শেয়ার বিক্রির ঘোষণায়

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন বেড়েছে মূলত ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোতে লেনদেন বাড়ায়। এই খাতের ২০টি কোম্পানিতে লেনদেন হওয়া ১০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার মধ্যে একটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে একটি কেবল দর ধরে রাখতে পেরেছে। দর কমেছে ১০টির। লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাতা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত আবার হতাশ করলেও লেনদেন বেড়েছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল চারটির, কমেছে ১৯টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৩টির দর। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা । আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর