বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলের শহীদ মিনার ধসে শিশু নিহত, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫৫

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের গাফলতিতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে শোকজ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে রাতে আমরা নিহত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।’

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়ায় স্কুলের শহীদ মিনারের পিলার ধসে জান্নাতি আক্তার নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার সকালে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

পাশাপাশি দুই বছরের জান্নাতি নিহতের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী।

নিহত জান্নাতি আক্তার সেকান্দরদী গ্রামের রাব্বি মোল্লার মেয়ে।

এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জান্নাতির পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে।

নিহতের পরিবার জানায়, জান্নাতি আক্তার শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পাশে খেলছিল। এ সময় শহীদ মিনারের একটি পিলার ভেঙে তার ওপর পড়লে আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

পলাশ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কারিউল্লাহ সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেটি মেরামত না করে দড়ি দিয়ে পিলারটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। যার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের গাফলতিতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে শোকজ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে রাতে আমরা নিহত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর