বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর মৃত্যু

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ১০:১৬

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছে না এখনও। তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে।’

এবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুকে কেড়ে নিল করোনাভাইরাস।

রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র।

পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের প্রেস সেক্রেটারি-২, খন্দকার দেলোয়ার জালালি বলেন, ‘৯টা ১২ মিনিটে উনার মৃত্যু হয়।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছে না এখনও। তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে।’

তিনি জানান, জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন। এরপর তারা জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, ‘আমরা মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

জিয়াউদ্দিন বাবলুর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। রেখে গেছেন এক ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বাবুল দুই দফায় দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো মহাসচিবের দায়িত্ব পান ২০২০ সালের জুলাইয়ে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক বিবৃতিতে তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বাবলুকে প্রথমে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

অন্য সবার মতো করোনাভাইরাস বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক সংসদ সদস্য। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন সংসদ সদস্যের এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর।

করোনায় মৃত্যু হওয়া সংসদ সদস্যরা হলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, নওগাঁ-৬ আসনের ইসরাফিল আলম, সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, কুমিল্লা-৫ আসনের আবদুল মতিন খসরু ও জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী।

এ ছাড়া, মারা যান টেকনোক্র্যাট কোটার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ।

করোনায় একের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সংসদেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবশেষ সংসদ অধিবেশনের সমাপনী দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা তিনি প্রার্থনা করেন আর যেন এমন মৃত্যু না ঘটে; প্রতিদিন যেন সংসদে আনতে না হয় শোক প্রস্তাব।

প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ‘এ পার্লামেন্টে আমরা এতজন সংসদ সদস্য হারালাম, এটা সত্যি খুব দুঃখজনক। এ রকম প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আমরা আর শোক প্রস্তাব আনতে চাই না। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক, ভালো রাখুক।’

এ বিভাগের আরো খবর