শেরপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন থেকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
আক্রান্তরা হলেন, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার দে ভানুর মা আরতি দে, স্ত্রী ফাল্গুনী মজুমদার, মেয়ে ঐশ্বর্য দে, ছেলে অর্ণব দে, ভাবি লুনা মিত্র মজুমদার, ভাতিজি অর্চিতা দে ও ভাতিজা সৌম্যদ্বীপ দে।
তাদের মধ্যে ঐশ্বর্য শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী, সৌম্যদ্বীপ সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র, নবারুণ পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়া শিক্ষার্থী অর্চিতা এবং সদর উপজেলার গনই ভরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাল্গুনী মজুমদার।
১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর জেলায় শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার দে ভানুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনে বলেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি। আমরা হোম আইসোলেশনে আছি এবং চিকিৎসা নিচ্ছি।’
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, ‘এরইমধ্যে শেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির সব ছাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে।’ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই ওইসব স্কুলের সংশ্লিষ্ট ক্লাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বলেন, ‘আগে আমরা ওই স্কুলগুলোর সব শিক্ষককে করোনা টেস্ট করাব। পরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৭ জন। জেলায় মোট মারা গেছেন ৯০ জন।