যশোরের ঝিকরগাছার একটি ক্লিনিক থেকে নবজাতক চুরির ঘটনায় তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জেলা বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) রেশমা শারমিন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ গ্রামের নাসিমা বেগম, রায়পটন গ্রামের মো. সাজু এবং বেনাপোল থানার রিংকু চক্রবর্তী।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নাসিমা বেগমের কাছ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পিবিআই। এ ঘটনায় নাসিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে বুধবার সকালে উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ গ্রাম থেকে সাজু ও রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, ৯ সেপ্টেম্বর রিংকু ও সাজু নাভারণ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে নবজাতকটিকে চুরি করেন। পরে তারা নাসিমা খাতুনের কাছে ১৫ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করেন।
সেদিন শার্শা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন শিশুর বাবা উপজেলার মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন। মামলাটি যশোর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করলে তদন্তের দায়িত্ব পান জিয়াউর রহমান।
নবজাতকের বাবা উপজেলার মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন সেই সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ৭ সেপ্টেম্বর ওই ক্লিনিকে তার স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটিকে বেডে আনার পর অনেকেই তাকে নিয়ে আদর করছিল। মা ও মেয়ে সুস্থ ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার পর শিশুটি নিখোঁজ হয়।
বুধবার আদালতে আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।