ইলিশ ধরতে গিয়ে ভোলার চরফ্যাশনে সাগরমোহনায় একটি ট্রলার ডুবে ১৮ জন জেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঢালচরসংলগ্ন ভাসানচরের সাগরমোহনায় ‘এফবি মা জননী-২’ নামের ওই ট্রলারের তলা ফেটে সেটি ডুবে গেছে।
তবে বুধবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মালেক মিয়া।
ট্রলারটির মালিক হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটের জেলে মহিউদ্দিন মিয়া।
ইউপি সদস্য মালেক মিয়া জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ জন, জাহানপুর ইউনিয়নের একজন এবং দৌলতখান উপজেলার দুজন জেলে ওই ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ওই ট্রলারটির তলা ফেটে গেছে বলে ট্রলারের জেলে মহিউদ্দিন তার ভাই খলিলকে ফোনে জানান। খলিলকে ভাসানচরের পূর্ব দিকে মেঘনায় একটি ট্রলার নিয়ে জেলেদের উদ্ধারের জন্য বলেন মহিউদ্দিন। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবং বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ঘাট থেকে কেউ ওই জেলেদের উদ্ধারে যেতে পারেননি।
বুধবার সকালে স্থানীয় জেলেরা মেঘনায় দুটি ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন মাঝি, মো. দুলাল, সাজাহান মুন্সি, আবদুল মুনাফ, মোসলেহ উদ্দিন, মো. ওবায়দুল্লাহ, মো. নুরনবী, হাবিবুল্লাহ মিঝি, মো. আজাদ, মো. রুবেল, মো. আলমগীর, মো. জাকির, মো. সাজাহান, মো. ফরিদ, মো. বেলায়েত, জাহানপুর ইউনিয়নের মো. জসিম এবং দৌলাতখান উপজেলার মো. মঞ্জুসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের একজন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন , ‘ট্রলারডুবির খবর পেয়েছি। উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নিখোজঁ জেলেদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল নোমানকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
চরফ্যাশনের ইউএনও আল নোমান বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোস্ট গার্ড ও স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’