বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণ-আন্দোলনে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে: মোশাররফ

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০৮

‘জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সৃষ্টি করাকে আমরা দায়িত্ব মনে করি। আমরা অচিরেই এ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করব, আর এই গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।’

অচিরেই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন, এই গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন, ‘তাদের গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আর বিদায় করতে হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও এর অঙ্গসংগঠনকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

বিএনপির নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে মানুষ চায় না। কারণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে যত দ্রুত বিদায় করা যাবে, তত দ্রুত আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি, তা সমাধান করা সম্ভব।

‘তাই আমরা এ মানববন্ধন থেকে দাবি করতে চাই, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সারা দেশের মানুষ দাবি করছে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। সেই সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।’

এই সরকারের মুখে নির্বাচনের কথা মানায় না বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ। বলেন, ‘তারা নির্বাচনের সব ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের আজ ভোটের প্রতি আস্থা নাই। কারণ, জনগণ ভোট দিতে পারে না। এই সরকারের অধীনে ভবিষ্যৎ কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এবং হবে না। তাই জনগণ চায় নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এটার কোনো বিকল্প নাই।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সৃষ্টি করাকে আমরা দায়িত্ব মনে করি। আমরা অচিরেই এ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করব, আর এই গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।

‘তাই সে অবস্থায় যাওয়ার আগে আমি এই মানববন্ধন থেকে সরকারকে আহ্বান করব, অনতিবিলম্বে আপনারা পদত্যাগ করুন। তা না হলে এ দেশের জনগণ বাধ্য হবে আপনাদের বিদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে।

‘আর সেই জনগণের সরকার কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য ফিরিয়ে দেবে। সেই সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে রাখবে।’

খন্দকার মোশররফ বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বাকশাল করে এই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের আগের রাতে ডাকাতি করে গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে হত্যা করেছে। তাই আওয়ামী লীগ এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। এখন একমাত্র সমাধানের রাস্তা হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা।’

এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো রকমের দায়িত্ব নেই বলেও অভিযোগ করেন মোশাররফ। বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ, এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে বা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে প্রশাসনে দলীয়করণ করে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে ভেঙে দিয়েছে। তাই প্রশাসন থেকেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। প্রশাসনও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগিতা করে আজকে কৃষকের ন্যায্যমূল্য দিচ্ছে না।’

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর