বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মসংস্থানে জোর দিন, বাংলাদেশকে আঙ্কটাড

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৩২

আঙ্কটাড প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে উৎপাদনশীলতার সক্ষমতা বাড়ছে। এখন যে সক্ষমতা আছে, এটিকে দ্বিগুণ করতে হলে ১০ বছরে আরও ২৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে।

দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশকে ৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। এটা করতে হবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার রাতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত ৪৬টি দেশ নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।

বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিতে বলেছে আঙ্কটাড।

সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন করে অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশকে ওই অর্থ খরচের কথা বলেছে।

আঙ্কটাড প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে উৎপাদনশীলতার সক্ষমতা বাড়ছে। এখন যে সক্ষমতা আছে, এটিকে দ্বিগুণ করতে হলে ১০ বছরে আরও ২৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে এ খাতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে আঙ্কটাড।

অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি হাতে গোনা কিছু খাত ও পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য না আনতে পারলে বাংলাদেশকে একসময় বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে।

তাই সীমিত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ গড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চাইলে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খাতে আগামী ১০ বছরে ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা মোট জিডিপির ৩১ শতাংশ।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা বর্তমানে ৪৬টি। অন্যদিকে ছয়টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। দেশগুলো হলো বতসোয়ানা, কেপভার্দে, মালদ্বীপ, সামোয়া, ভানুয়াতু ও ইকোয়েটরিয়াল গিনি।

বাংলাদেশ, ভুটান, সাও টোমে প্রিনসিপে, অ্যাঙ্গোলা, সলোমান দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি ও টুভালু দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (সিডিপি) সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা।

আঙ্কটাড প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নয়নে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অম্ভ্যন্তরীণ সম্পদ তথা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম জোরদার করা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ করা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করা।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে শিল্পনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করে আঙ্কটাড।

এ বিভাগের আরো খবর