বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভারত বনধ্’ কর্মসূচিতে সায় নেই মমতার

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪০

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে, আমরা তাদের সমর্থন করছি। তবে ২০১১ সালের পর থেকে আমি বনধ্ সমর্থন করছি না। নিজেরা বনধ্ কর্মসূচি দিচ্ছি না।’

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার ভোর থেকে শুরু ‘ভারত বনধ্’ কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষকের আন্দোলনে সমর্থন থাকলেও দেশ অচল করার কোনো কর্মসূচিতে নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভবানীপুরে নিজের ভোটের প্রচারে গিয়ে সোমবার কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি বলেন, ‘সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে, আমরা তাদের সমর্থন করছি। তবে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠনের পর থেকে আমি বনধ্ সমর্থন করছি না। নিজেরা বনধ্ কর্মসূচি দিচ্ছি না। তবে কৃষকদের ইস্যুটাকে সমর্থন করি। কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন প্রত্যাহার করুক, সেটা চাইছি। কালাকানুন মানছি না।’

কৃষকের স্বার্থবিরোধী তিনটি আইন বাতিলের দাবিতে ‘ভারত বনধ’ কর্মসূচি দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)।

তৃণমূল কংগ্রেস কৃষকদের দাবিতে শুরু থেকেই জোরালোভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে কৃষকদের ডাকা সারা ভারতের সাধারণ ধর্মঘট থেকে এখন তারা নিজেদের দূরে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল দূরে থাকায় কৃষকদের ডাকা কর্মসূচি নিয়ে সেখানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।

তৃণমূল নেতারা জানান, বিজেপি সরকারের আনা তিনটি কালাকানুন তারা সমর্থন করেন না। কৃষকদের পাশে থেকে এ আইনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। ভারত বনধ্ কর্মসূচিতে না থাকা মানে তাদের পাশে থেকে সরে যাওয়া নয়। আবার বিজেপির কাজকেও সমর্থন নয়।

তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ভারত বনধ্ কর্মসূচি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। তাদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, বামসহ অন্য দলগুলো। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকদের ডাকা ধর্মঘটে সারা পড়লেও কলকাতায় তা ঢিলেঢালা। তৃণমূল চুপ থাকায় এ অবস্থা বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কৃষক বিক্ষোভ চলছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকা বনধ্ কর্মসূচিতে অনেক জায়গায় জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, ২৪ পরগনা ও হুগলিতে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে বনধ্ কর্মসূচির।

প্রায় ১০ মাস পর ‘ভারত বনধ্’ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই নতুন গতি পেয়েছে ভারতের কৃষক আন্দোলন। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় কর্মসূচি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজারো কৃষকের অবস্থান ধর্মঘটে অচল রাজধানী দিল্লির সীমান্ত। বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

পার্লামেন্টে আইন তিনটি অনুমোদন পাওয়ার এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে ‘ভারত বনধ’ বা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম)। ৪০টি কৃষক ইউনিয়নের জোট এসকেএমের ডাকে বেশ কয়েকটি জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

এসকেএম জানায়, কর্মসূচির আওতায় বন্ধ থাকবে সারা ভারতের স্কুল, কলেজ, সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্র, দোকানপাট, কলকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু। কেবল জরুরি সেবা চালু রাখতে দেয়া হবে বলে জানায় জোটটি।

এ বিভাগের আরো খবর