বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমার নদে নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:১১

সাঈদ নামে একজন বলেন, ‘বর্তমানে নৌকাবাইচ খুব কম দেখা যায়। তাই নৌকাবাইচের কথা শুনে এসেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং আনন্দ পেয়েছি। আমি চাই আমাদের রাজৈরে নৌকাবাইচের আয়োজন আরও করা হোক।’

মাদারীপুরের রাজৈরে কুমার নদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ।

উপজেলার আমগ্রাম ব্রিজসংলগ্ন নদ এলাকায় নৌকাবাইচকে ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

বাংলা ও বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির প্রাচীনতম এ উৎসব উপভোগ করতে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-নির্বিশেষে মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে। নদের পাড়ে বসে হরেক রকমের খেলনা ও মিষ্টির পসরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার বিকেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজৈরে কুমার নদের পাড়ের স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর নৌকাবাইচ। এ সময় কুমার নদের পাড় পরিণত হয় রাজৈরসহ আশপাশের শত শত মানুষের মিলনমেলায়। প্রতিযোগিতায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩২টি নৌকা অংশগ্রহণ করে।

শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে নৌকাবাইচ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। উৎসবমুখর এ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী নৌকার দলপতির হাতে পুরস্কার তুলে দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতা দেখতে আসা লোকজন ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান।

আয়োজক কমিটির সদস্য রাজৈর পৌরসভা কাউন্সিলর উজির মিয়া বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে নৌকাবাইচের আয়োজন করেছি। করোনা মহামারি ও লকডাউনের জন্য রাজৈরবাসী দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিল। তাদের বিনোদন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমরা ৯ কাউন্সিলর।’

আরেক কাউন্সিলর সুলাইমান বলেছেন, ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এ কারণে আমরা এই নৌকাবাইচের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে নৌকাবাইচের আয়োজন করব।’

নৌকাবাইচ দেখতে এসে স্নিগ্ধা নামের একজন বলেন, ‘আমি এর আগে কখনও নৌকাবাইচ দেখিনি। প্রথম দেখলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।’

স্বর্ণা নামের একজন বলেন, ‘প্রতিযোগিতার কথা শুনে অনেক দূর থেকে এসেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে নৌকাবাইচ।’

সাঈদ নামে একজন বলেন, ‘ বর্তমানে নৌকাবাইচ খুব কম দেখা যায়। তাই নৌকাবাইচের কথা শুনে আমি এসেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, আনন্দ পেয়েছি। আমি চাই আমাদের রাজৈরে নৌকাবাইচের আয়োজন আরও করা হোক।’

সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘প্রতিবছর এ আয়োজন ধরে রাখতে সহযোগিতা করব। ঐহিত্য ধরে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সে হিসেবে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের আরও আয়োজন করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর