করোনা পরিস্থিতিতে ৩১১টি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে শনিবার বেলা ২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৪ হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭৩৪টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ১ হাজার ৯৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি আমদানি-রপ্তানিতে নিয়োজিত।
‘চট্টগ্রামে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ৩৯৮টি। আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত ১৯০টি। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকায় ২৮১টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দর কাস্টমস পরিবহনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একটি গোষ্ঠী এটি করছে। আমদানি-রপ্তানির প্রবাহ ঠিক রাখতে এই অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন।’
সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্র্যান্ডিং ছাড়া পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।’
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও আনোয়ারা ইকোনমিক জোনে পোশাকশিল্পের কারখানা স্থাপনে স্বল্পমূল্যে ভূমি বরাদ্দ, সহজ ও স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ দেয়া, চট্টগ্রামে কিছু ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন, চট্টগ্রামস্থ আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তর, ইপিবি, বিনিয়োগ বোর্ড, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতায়ন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দেয়ায় আমরা করোনায় শ্রমিকদের বেতন দিতে পেরেছি। ভিয়েতনাম, ভারতের চেয়ে আমাদের সরকার পোশাকশিল্প নিয়ে অনেক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল হলে তৈরি পোশাকশিল্পে বিপ্লব ঘটাবে।’
বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করতে চাই না। দুর্নীতির শিকারও হতে চাই না। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে অটোমেশন চাই। পোশাকশিল্পে লুকানোর মতো কোনও জায়গা নেই। ইজি অব ডুয়িং বিজনেস চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাহাবুদ্দিন আহমেদ।