জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে আঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুলকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ‘ছিনতাইয়ের’ ঘটনায় আহত রুবেল মিয়া নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শিমুলকে পাঠানো হলে বিচারক মাহবুবা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস জানান, ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার পুলিশ শিমুলের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। তবে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২৭ তারিখ রিমান্ড শুনানি হবে।
গ্রেপ্তার শিমুলের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের কৃষ্টপুর এলাকায়। আর আটক রুবেল মিয়ার বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ শহর অতিক্রম করার সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ছাদে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. ফারুক নামে একজন জানিয়েছিলেন, টঙ্গী থেকে ট্রেনের ছাদে ওঠেন তিনি। গফরগাঁওয়ে আসার পর ছাদে থাকা ২০ থেকে ২৫ জনের সব মালপত্র নিয়ে নেয় সাতজন। ওই ব্যক্তিদের হাতে ছুরি থাকায় তারা সবকিছু দিয়ে দেন।
আটক রুবেল তখন জানিয়েছিলেন, ট্রেনটি গফরগাঁওয়ে পৌঁছালে সাতজন ছুরির ভয় দেখিয়ে ট্রেনের ছাদের সামনে থেকে ডাকাতি করা শুরু করে। ময়মনসিংহ আসার পর তিনি, নাহিদ, সাগরসহ কয়েকজন যাত্রী মালপত্র ফেরত চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধর করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত সাগরের মা হনুফা বেগম। একই দিন রাত ৩টার দিকে সদরের কেওয়াটখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুলকে আটক করে রেলওয়ে থানার পুলিশ।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, শিমুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তাকে রিমান্ডে পেলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
আটক রুবেলের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত রুবেল মিয়া সুস্থ হয়েছেন৷ এ জন্য তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় আনা হচ্ছে।
‘আশা করছি রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। সে ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’