বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোয়ারে ভোটকেন্দ্রে হাঁটু পানি, সরানোর দাবি

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:১৩

লোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘কেন্দ্রটি সরাতে এলাকাবাসী আমাকে বারবার অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

বর্ষা বা জোয়ারের সময় পটুয়াখালী সদরের লোহালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাকড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। যাতায়াতেও পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ। স্কুলটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্রটি সরানোর দাবি উঠেছে।

এলাকাবাসীর লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। জানিয়েছেন, শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।

দুই থেকে আড়াই শ ভোটারের সই করা আবেদনে বলা হয়, লোহালিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাকড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র হিসেবে সম্পূর্ণ অনুপযোগী। বর্ষা বা জোয়ারের সময় বিদ্যালয়টির সামনে হাঁটু পানি জমে থাকে।

এ ছাড়া কেন্দ্রের দুই পাশের রাস্তা দুটি কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। ওই কেন্দ্রে চলাচল করতে হয় হেঁটে। কেন্দ্রটি ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রটি সরিয়ে ১৫৪ নম্বর মধ্য কাকড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।

১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আজাহার উদ্দিন খান বলেন, ‘কেন্দ্রের এক পাশের রাস্তা ভাঙা। হেইহানে কলা ও সুবারি গাছ দিয়া বানানো হাক্কা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এই কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের আসা-যাওয়া কম।’

জাকির হোসেন মোল্লা নামের একজন বলেন, ‘ভোটারদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেব। এরপরও কেন্দ্র পরিবর্তন না হলে, আন্দোলন ছাড়া উপায় থাকবে না।’

লোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘কেন্দ্রটি সরাতে এলাকাবাসী বারবার অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের বলেছি, ভোটারদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রটি যেন সরিয়ে নেয়া হয়।’

এ বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি সাহানুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খালিদ বিন রউফ জানান, ভোটারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠাব। সেখান থেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, ‘চলাচলে সমস্যা এবং ঝুঁকিপূর্ণ হলে কেন্দ্র পরিবর্তনের সুপারিশ করব। এরই মধ্যে অফিসারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি।’

গত মার্চে কয়েক ধাপে সবগুলো উপজেলায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণের তফসিল ঘোষণা হয়। ভোট হয় ২০ সেপ্টেম্বর।

আগামী সপ্তাহে এই উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর