জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসে আরও ২২টি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আগের আছে ৪০টি ক্যামেরা। এতে পুরো ক্যাম্পাসে নজর রাখা সহজ হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
ক্যাম্পাস খোলার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্পটির প্রস্তাবনা শেষ হয়েছে, উপাচার্যের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে বাস্তবায়ন। এ তথ্য জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই অনেক ক্যামেরা লাগানো আছে, কিছু জায়গায় আরও লাগাতে হবে। সে জন্য প্রস্তাবনা রেডি হয়ে গেছে। বাকি তথ্য আইটি দপ্তর বলতে পারবে।’
নেটওয়ার্ক এন্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ‘অলরেডি ২২টি ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভিসি স্যার অনুমোদন দিলেই এটার বাস্তবায়ন হবে। এখন ২২টা বসছে, পর্যায়ক্রমে আরও লাগানো হবে। এসব কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে আইটি দপ্তর।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে গত বৃহস্পতিবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজনীয়তা আলোচনায় উঠে আসে। ক্যাম্পাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্যামেরায় নজরদারি করবেন। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যেন বিঘ্ন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে বৈঠকে।
ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ নিয়ে আশঙ্কা থাকলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ৪০টির বেশি ক্যামেরা আছে। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ভিসি ভবন, নিউ একাডেমিক ভবনের নিচতলা, কলা ভবন, ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে ও বাইরে, অবকাশ ভবন, শান্ত চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসব ক্যামেরা বসানো হয়। নতুন ২২টি ক্যামেরা যোগ হলে ক্যাম্পাস এলাকার পুরোপুরি নজরদারি সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।