বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা: ফারিয়ার আত্মসমর্পণ

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:১৭

এ মামলায় ফারিয়া বিনতে মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেয় হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি মিলে। তবে এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে।

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে পুলিশের ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা আত্মসমর্পণ করেছেন।

বিচারিক আদালকে আসামি ফারিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে রোববার আপিল বিভাগে জানান তার আইনজীবী শেখ মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।

পরে প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দেয়।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। রহমতউল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন।

রহমতউল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ওই বছরের ১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

এ মামলায় ফারিয়া বিনতে মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেয় হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি মিলে। তবে এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে।

এই অবস্থায় ২৬ আগস্ট ফারিয়া নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ওঠে।

এ বিভাগের আরো খবর