বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিষখালীর ডুবোচরে ৩ দিন ধরে আটকা ‘পূবালী’

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:০৩

পূবালী লঞ্চের মাস্টার জহিরুল ইসলাম জানান, বরিশালের পর বরগুনা পর্যন্ত ঝালকাঠির গাবখান মোহনা ছাড়া আর কোথাও নৌ-সংকেত নেই। ভরা মৌসুমে এই রুটে লঞ্চ চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিআইডব্লিউটিএ এর জন্য কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।

ঝালকাঠির বিষখালী নদীর ডুবোচরে তিন দিন আগে ৪০০ যাত্রীসহ আটকা পড়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের লঞ্চ এমভি পূবালী-১। উদ্ধারকারী লঞ্চ গিয়ে যাত্রীদের সে সময় তীরে নিয়ে আসে। তবে এখনও চরে আটকে আছে বিশালাকৃতির তিনতলা লঞ্চটি।

এক মাস আগে এই চরেই আরেকটি লঞ্চ আটকা পড়ে। সেটি উদ্ধারে সময় লাগে ১৫ দিন। পরপর দুটি দুর্ঘটনায় এই নৌপথের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

দুর্ঘটনাকবলিত এমভি পূবালীর সুকানি ও লঞ্চের মাস্টারদের অভিযোগ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে সংকেত বাতির ব্যবস্থা করেনি। এ কারণে তারাও লঞ্চ চালাতে ভয় পাচ্ছেন।

লঞ্চের সুকানি সেন্টু হাওলাদার জানান, গত মঙ্গলবার ভোররাতে মোড় ঘুরতে গেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন এলাকায় বিষখালীর চরপালট অংশে ডুবোচরে লঞ্চটির ধাক্কা লাগে। তাতে লঞ্চের ৯৮ ভাগ অংশ চরে উঠে যায়।

লঞ্চটির আরেক সুকানি নাসির শেখ বলেন, ‘ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিলাম। ওই অংশটিতে যেহেতু বিআইডব্লিউটিএর কোনো বয়াবাতি বা মার্কিং (নাব্য সংকেত) নেই, সেহেতু আমরা বেশ সতর্কই ছিলাম। রাতে প্রচুর বৃষ্টি ছিল, জোয়ারের পানিও বেশি ছিল। এ কারণে চরটি বোঝা যাচ্ছিল না। মোড় ঘোরার সময় লঞ্চটি চরের ওপরে উঠে যায়।’

পরে রাজারহাট-বি নামের আরেকটি লঞ্চ গিয়ে পূবালীতে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে বরগুনায় পৌঁছে দেয়।

পূবালী লঞ্চের মাস্টার জহিরুল ইসলাম জানান, বরিশালের পর বরগুনা পর্যন্ত ঝালকাঠির গাবখান মোহনা ছাড়া আর কোথাও নৌ-সংকেত নেই। ভরা মৌসুমে এ রুটে লঞ্চ চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিআইডব্লিউটিএ এর জন্য কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।

চর থেকে লঞ্চটি নামানোর বিষয়ে এর মালিক ইমরান খান রাসেল বলেন, ‘ঢাকা থেকে এয়ারব্যাগ এনে লঞ্চ নামানোর চেষ্টা করা হবে। তাতে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগবে। এর আগে স্থানীয় ড্রেজার এনে জাহাজের নিচে পানি মেরেছি। তাতে কাজ হয়নি।

‘দুর্ঘটনার পর আমরা বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। এখানে দ্রুত মার্কিং (নাব্য সংকেত) স্থাপনের দাবি জানিয়েছি।’

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা-বরগুনা রুটের লঞ্চ ড্রাইভাররা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, বিষখালী নদীর ওখানে সিগন্যাল না থাকায় তাদের লঞ্চ চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

‘আমরা ওখানে একটি তদন্ত দল পাঠাব। তারা জায়গাটি দেখে আসার পর ওখানে বয়া ও বিকন বাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর