ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে একক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শুশেন চন্দ্র শীল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শহরের মিজান রোডে জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি ও ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে জানান, শেষ দিন সোমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী শুশেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শেষ সময় পর্যন্ত আর কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
নির্বাচন কমিশন জানায়, এই উপনির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ৭ অক্টোবর।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, যাচাই-বাছাই শেষে ২০ সেপ্টেম্বর একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শুশেন চন্দ্র শীলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। তাই বিএনপির কেউ এখানে প্রার্থী হননি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করে ভোট নিয়ে যায়। সে জন্য বিএনপি প্রার্থীদের আগ্রহ কম। তারা ক্ষমতায়, তারাই সব। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই।’
জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোতায়ের হোসেন চৌধুরী রাশেদ বলেন, ‘উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগ যেভাবে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যায়, সে জন্য অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহ হারান।’
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এ কারণে অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চান না।’
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি বা কেন্দ্র দখল করে না। বিএনপিসহ অন্য দল প্রার্থী দেয়ার মতো লোক খুঁজে পায় না। এ কারণে তারা আবোলতাবোল কথা বলছেন।’