এক মাসে অন্তত তিনবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়, তা কেউই জানে না। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। এমন ঘটনা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডিখান এলাকার। পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার সিডিখান এলাকার সুজন পেদার ঘরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সিডিখান-সাহেবরামপুর সড়কের পাশে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তার সপ্তাহখানেক আগেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমা ফাটিয়ে এলাকা থেকে মুহূর্তের মধ্যেই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। কাউকে সন্দেহ বা ধরাও যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই একটি পক্ষ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
বোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে এবং তা দেখে সাধারণ মানুষ চিৎকার করছে।
সিডিখান এলাকার বাসিন্দা সমশের আজাদ বাবুল বলেন, ‘প্রায় এক মাসের ব্যবধানে তিনবার আমাদের এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বারবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এর আগের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।’
সিডিখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. চান মিয়া শিকদার বলেন, ‘কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, বুঝছি না। কারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত, সেটাও বুঝছি না। যদি সাহস আর হিম্মত থাকে, প্রকাশ্যে ঘটনা ঘটাক। সেটা যাদের সাহস নেই, তারা মূলত কাপুরুষ।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘প্রথমে বিষয়টি মনে হয়েছিল কেউ দুষ্টমি করছে। এখন দেখি প্রায় দিনই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা পুলিশের লোক টহলের ব্যবস্থা করেছি। যদি কাউকে শনাক্ত বা সন্দেহ করা যায়, তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘স্থানীয় দলাদলির কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সচেষ্ট আছে। এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’