পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধনে এসব দাবি করেন পরিষদের সদস্যরা।
মানববন্ধনে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম করা, শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে কর্মচারী বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
এ সময় পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা ভুঁইয়া, সাধারন সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, ‘৮ ঘন্টা ডিউটি করার কথা থাকলেও প্রয়োজনে আমাদের ১২ থেকে ১৬ ঘন্টাও কাজ করতে হয়। এরপরও আমরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।
‘অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি শুরু করে এই পদেই আমাদের অবসরে যেতে হয়, কোনো পদান্নতি হয় না। আবার স্কুল বা মাদ্রাসায় সব ধরনের কাজ ৩য় শ্রেণির কর্মচারীরা করলেও বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং গ্রহণ করে শিক্ষকেরাই ।’
পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবিগুলো হলো-
১. তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম করা এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
২.পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক/হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি করা।
৩. পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের দ্রুত ব্যবস্থা করা।
৪ . শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও গভর্নিং বড়িতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখা।
৫. শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।