এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিয়ুন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে এফটিএ সইয়ের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাসকে ডিসিসিআইয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) ও কোরিয়ার দূতাবাসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর মতিঝিলের ডিসিসিআই কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৩৯৮.৬৬ মিলিয়ন ডলার।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ১০৩০.৬৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। আশা করছি, আগামীতে কোরিয়ান বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাদের চামড়া ও জুতা, জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ, তৈরি পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, অটোমোবাইল ও অবকাঠামো, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিদ্যুৎ এবং ইলেকট্রনিক্স খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিয়ুন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে পঞ্চম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। সামনের দিনগুলোতেও বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ৯৩ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই সুবিধা চালু রাখতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি জরুরি।
তিনি জানান, ৭০টি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এফটিএ রয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও আশিয়ান উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের ওষুধ এবং তথ্য-প্রযুক্তিখাত বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।