করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বছর সৌদি আরব হজ পালনের জন্য বিদেশিদের অনুমতি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিরা হজে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বুধবার এ তথ্য জানান।
হজে গমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে গমনে অগ্রাধিকার পাবেন প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিরা। আর কেউ টাকা তুলে নিতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম মেনে সহজেই তা পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে অনুমতি মিলতে পারে। যারা প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তখন তারা ক্রম অনুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যেতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবে হজ হয়েছে সীমিত পরিসরে। শর্তসাপেক্ষে শুধু সে দেশের নাগরিকরা হজ পালন করেন। অন্যদেশের কেউ হজ পালনে সেখানে যেতে পারেননি। সেজন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত ব্যক্তিরাও হজ পালনের সুযোগ পাননি।
‘প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তিরা এখন চাইলে তাদের জমা দেয়া টাকা তুলে নিতে পারবেন। নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে তাদের আবেদন করতে হবে।’
তিনি আরও জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে গতবছর ৩ হাজার ৪৫৭ জন নিবন্ধন করেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড নিয়েছেন। ২ হাজার ৭০০ জন বর্তমানে নিবন্ধিত আছেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গতবছর হজে যেতে ৬১ হাহার ১৪২ জন নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭১৯ জন নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড নেন। বর্তমানে ৫৩ হাজার ৪২৩ জন নিবন্ধিত আছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন।
‘নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ২০২২ সালে হজে যেতে তা নবায়নের ব্যবস্থা করা হবে।’
বৈঠকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।