২০১৩ সালে খুলনায় করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা ও জজ আদালতে রোববার সকালে মামুনুলকে তোলা হলে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালতের আদেশে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখন মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর তার পরবর্তী শুনানি হবে।
এই মামলায় আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মামুনুলকে খুলনা কারাগারে আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেপ্তার যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামসহ ১২টি দলের প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী খুলনায় মিছিল বের করে।
মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলো ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ককটেল ও গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ জনকে।
এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবীর মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে মামলা করেন।
এ বছরের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সহিংসতা ও রিসোর্ট-কাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে।
প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে না করা ও আটক রাখার অভিযোগে মামুনুলের নামে ধর্ষণ মামলাও করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের সেই নারী যিনি মামুনুলের সঙ্গে রিসোর্টে ধরা পড়েছিলেন।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।