নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ গত ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার কর্মকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও বিস্তৃত হবে।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং আগামি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ক্রমবর্ধমান হারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক।
রাষ্ট্রদূত সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ, বিশেষ করে সদ্য ঘোষিত জাতীয় সনদ এবং রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংলাপের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরনের সংলাপ ও উদ্যোগ নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের যে ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা দেশে গণতান্ত্রিক ঐক্য ও আস্থার পরিবেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতার সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা জানান, ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এই অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
সাক্ষাতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে রাষ্ট্রদূত জার্মানির পক্ষ থেকে মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎ শেষে উভয়পক্ষ আগামী দিনে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।