বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বরের ৪ দিনে ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাস আসার আগে ডেঙ্গু চিকিৎসা হতো সব হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। ওই বিভাগগুলোকে এখন করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। যে কারণে ডেঙ্গু রোগীরা অবহেলিত হচ্ছেন। করোনার সংক্রমণ এখনও সেভাবে কমে আসেনি। তাই করোনার মধ্যেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

দেশে চলতি মাসের প্রথম চার দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচজনের। এ নিয়ে এ বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫০১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

গত জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। জুনে এটি ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জনে। এতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন।

জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টের চিত্রটি ছিল উদ্বেগজনক। এ মাসে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ছিল ৭ হাজার ৬৯৮ জন। চলতি মাসে প্রথম পাঁচ দিনের চিত্র আগের মতোই উদ্বেগের।

শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে শুধু ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতেই ভর্তি হয়েছে ২৩২ জন। অন্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১১ হাজার ৫০১ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ১০ হাজার ১৭৪ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ১ হাজার ২৭৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১৩৭ ডেঙ্গু রোগী।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগস্টে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মাসের চার দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

২১ বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর সার্বিক বিষয় নিয়ে তথ্য জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু আর কখনও দেখেনি দেশ। এর আগে ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যু সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা করোনা হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার। তাদের যেন হাসপাতাল থেকে ফেরত না দেয়া হয়।'

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আসার আগে ডেঙ্গু চিকিৎসা হতো সব হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। ওই বিভাগগুলোকে এখন করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। যে কারণে ডেঙ্গু রোগীরা অবহেলিত হচ্ছেন। করোনার সংক্রমণ এখনও সেভাবে কমে আসেনি। তাই করোনার মধ্যেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর