বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের আসরে জাফরুল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা লিমনের

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৩১

লিমনের মা হানুয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিনা কারণে র‍্যাব গুলি করলে সে পা হারায়। তারপর দীর্ঘ লড়াইয়ে সবচেয়ে সহযোগিতা করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ।’

বিয়ে করেছেন এক দশক আগে র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির লিমন হোসেন। শুক্রবার বিয়ের আসরে তার দুঃসময়ে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি।

লিমন বলেছেন, ‘আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশের সকল গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার কমিশনের অবদান কখনও ভুলতে পারব না। এ ছাড়া ঝালকাঠির স্থানীয় সাংবাদিকদের কথাও ভোলা যাবে না।’

র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো ও যড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফেঁসে যাওয়া লিমনকে উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ।

তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে লিমনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি তিনি।

লিমন বলেন, ‘আমার বিয়েতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আসতে চাইলেও অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। তার কাছে দোয়া চেয়েছি। বাবা-মাকে সব সময় সাহস দিতাম, আমাদের সুদিন আসবে, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

ডা. জাফরুল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লিমনের মা হানুয়ারা বেগমও।তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিনা কারণে র‍্যাব গুলি করলে সে পা হারায়। তারপর দীর্ঘ লড়াইয়ে সবচেয়ে সহযোগিতা করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ।গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ স্যার লিমনের অধ্যবসায় ও নিষ্ঠা দেখে তাকে সব সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।’২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে লিমনের পায়ে গুলি করেন র‍্যাব সদস্যরা। এরপর লিমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমনের গুলিবিদ্ধ পা কেটে ফেলতে হয় ঘটনার তিন দিন পর।

সে বছরই লিমনের মা হানুয়ারা বেগম ঝালকাঠি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে র‌্যাবের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে মায়ের সঙ্গে গরু আনতে গিয়েছিলেন লিমন হোসেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন র‌্যাব সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। পরে লুৎফর রহমান নামের এক র‌্যাব সদস্য লিমনের শার্টের কলার ধরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেন। তখন লিমন তার পা ধরে কেঁদে বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসী না, আমি স্টুডেন্ট। পাশের ইটভাটায় আমি কাজ করি। খেয়া পার হয়ে স্কুলে যাই।’

এরপর লুৎফর রহমান লিমনের মাথায় গুলি না করে পায়ে গুলি করেন। র‍্যাবের মামলা চলার সময় ঝালকাঠির কারা হাসপাতালে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যান লিমন। জামিনে মুক্ত হয়ে ২০১৩ সালে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরের বছর মামলা দুটি থেকে লিমনকে বাদ দেয়া হয়।

সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন লিমন। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষা সহকারী পদে যোগ দেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সহকারী প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি হয় লিমনের।

এ বিভাগের আরো খবর