প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ তার দরজা খুলে দিলেই বিএনপির ঘর শূন্য হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তবে দলটি লাশের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত, তাই আওয়ামী লীগ চায় না কোনো অনুপ্রবেশ ঘটুক বলেও মত দেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর বিএমএ অডিটরিয়ামে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন বিএনপি আছে লাশের রাজনীতি নিয়ে। তারা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নাই। প্রধানমন্ত্রী চান না যে, দলের মধ্যে কোন অনুপ্রবেশ ঘটুক। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক চরিত্র হনন করতে চান না। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দরজা খুলে দিলে, বিএনপির ঘর শূন্য হয়ে যাবে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা জানেন না, তারা ডানে, বামে পেছনে কাউকেই পাবেন না, যদি প্রধানমন্ত্রী ইশারা দেন। কারণ আদর্শহীন, নীতিহীন একটি রাজনৈতিক দল জিয়াউর রহমান গঠন করেছিলেন খুনীদেরকে নিয়ে, অপরাধীদেরকে নিয়ে।’
বাংলার মানুষ খুনী অপরাধীদের সঙ্গে থাকতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সত্য এবং সুন্দরের সঙ্গে আছি। সত্য এবং সুন্দর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধু।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনৈতিক নেতা নিহত হলেও, সপরিবারে এভাবে নারী, পুরুষ, গর্ভবতী নারী, শিশু—এতো মানুষকে এভাবে হত্যা করা হয়নি কোথাও।’
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি হত্যাকাণ্ড কীভাবে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল, আমরা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর দেখেছি। এ হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে জিয়াউর রহমান কীভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে! কীভাবে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে! কীভাবে নোংরা কল্পকাহিনী সাজিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে! শুধু একটি অপরাধকে, একটি হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার জন্য জিয়াউর রহমান এই কল্পকাহিনী বানিয়েছিলেন।’
জিয়ার ধারাবাহিকতা এরশাদ ও খালেদা জিয়াও একইভাবে পালন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আজকের বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের বন্ধু নয়; বঙ্গবন্ধু বিশ্বেরও বন্ধু।’
নৌ পর্যটনে বিআইডব্লিউটিসির সম্পৃক্ততা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা দুটি ক্রুজ ভ্যাসেলের চুক্তিপত্র করেছি। এ দুটি ভেসেলে সব আন্তর্জাতিক সুবিধা থাকবে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই এ জাহাজ দুটি পেয়ে গেলে বিদেশি পর্যটকরাও এখানে আগ্রহ দেখাবে।’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেই বিআইডব্লিউটিসিকে এগিয়ে যেতে হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মহসিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাহাবুদ্দিন মিয়া, মশিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম এবং বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জুলহাস রহমান।