রাজশাহীতে এক মৎস্যচাষি ও এক নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নগরীর নওদাপাড়া ও জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার লালাদীঘি এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নগরীর নওদাপাড়ায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে অটোরিকশা চুরি করা হয়েছে। আর গোদাগাড়ীতে পুকুরের মাছ চুরি করতে মাছচাষিকে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়।
নিহত নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমান ওরফে নারার বাড়ি রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়ায়। আর নিহত মাসুদ রানার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায় চাপাল গ্রামে।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম খান জানান, নগরীর নওদাপাড়া বাজারে একটি অটোরিকশার গ্যারেজের নৈশপ্রহরী ছিলেন আনিসুর। সোমবার সকালে গ্যারেজের ভেতর তার হাত-পা-মুখ বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, আনিসুরকে শ্বাসরোধে হত্যার পর অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মাসুদ রানা ও তার এলাকার মো. লিটন নামের এক ব্যক্তি একসঙ্গে একটি সরকারি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। সোমবার ভোররাতে পুকুরে মাছ ধরার কথা ছিল তাদের। এ কারণে রোববার মাঝরাতে তারা দুজন পুকুরে যান। তারা পুকুরপারে টংঘরে ছিলেন।
রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই পুকুরে মাছ চুরি করতে যায়। তারা লিটন ও মাসুদকে বেঁধে পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরতে থাকে। পরে লিটন ও মাসুদের ঠিক করা জেলেরা মাছ ধরতে এলে চোরেরা জাল ও মাছ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর জেলেরা টংঘরে গিয়ে তাদের বাঁধন খুলে দেন। তখন দেখা যায় মাসুদ মারা গেছেন।
ওসি আরও জানান, যে জাল জব্দ করা হয়েছে, সেটা টানতে ১০ জনের বেশি লোক প্রয়োজন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, চোরেরা ১০ জনের বেশিই ছিল। তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
সকালে মাসুদ রানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।