ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লইস্কা বিলে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত একজনের তথ্য মিলেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালে না নিয়ে সরাসরি বাড়িতে নেয়ায় তার নাম মৃতের তালিকায় ছিল না।
নতুন নাম আসা জামিলা বেগম সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার স্ত্রী। রোববার সরকারিভাবে জামিলার নাম মৃতের তালিকায় যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ জনে।
জমিলার মৃত্যুর বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
জামিলার পুত্রবধূ আঁখি আক্তার জানান, শুক্রবার স্বামী মোরাদ, বড় ছেলে তামিম, ছোট ছেলে তানভিন, ছোট মেয়ে মুবাসসিরা, শাশুড়ি জামিলা ও ভাশুরের ছেলে রিফাতকে নিয়ে ননদ সাদেকার মেয়ের বিয়েতে চম্পকনগর যান তিনি। বিকেলে চম্পকনগর নৌঘাট থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিতে ওঠেন তারা।
তিনি আরও জানান, ট্রলারডুবিতে শাশুড়ি জামিলা ও ছোট ছেলে তানভীরের মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ উদ্ধারের সময় তিনি আহত স্বামীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ছিলেন। সেখানেই পরে তানভীরের মরদেহ নেয়া হয়।
তবে শাশুড়ি জামিলার মরদেহ বিলের পাড় থেকেই ফুফু সাদেকার বাড়িতে নিয়ে যান রিফাত। হাসপাতালে না নেয়ার তার নাম সরকারি তালিকায় ছিল না।
আঁখি আরও জানান, ছোট ছেলের জন্য ২০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেও শাশুড়ির নাম তালিকায় না থাকায় তারা কোনো সহায়তা পাননি। এ জন্য রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসনের কাছে নাম তালিকায় দিতে আবেদন করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘জামিলার পরিবার আজ ২০ হাজার টাকা সহায়তা পাওয়ার জন্য আবেদন করলে আমরা নাম জানতে পারি। জামিলার নাম যুক্ত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ জনে।’