শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে চলছে না ফেরি, আরিচা ফেরিঘাটেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে ভিড় বেড়েছে লঞ্চ ও ট্রলারে।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে সোমবার সকাল থেকেই দেখা যায় লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের ভিড়। যারা মোটরসাইকেলে এসেছেন, তারা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন ট্রলারে।
ফরিদপুরের যাত্রী শেফালি আক্তার নিউজবাংলাকে জানান, এই পথে ফেরি বন্ধ থাকায় আরিচায় লম্বা জ্যাম। অনেক বেশি সময় লাগছে ফেরিতে উঠতে। তাই ঘাট পর্যন্ত বাসে এসে লঞ্চে নদী পার হয়ে ফরিদপুর যাবেন।
পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ও পদ্মা সেতুর পিলার রক্ষায় গত ১৮ আগস্ট থেকে এই নৌপথে ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে দুই ঘাটে। বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরায় সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ফেরিঘাট।
খুলনার যাত্রী মাহবুবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে আধা ঘণ্টায় শিমুলিয়া ঘাটে আসা যায়। লঞ্চে নদীর ওপারে গিয়ে যেকোনো যানবাহনে খুলনায় চলে যাবেন। অন্য পথে ফেরিতে যেতে হলে অনেক সময় নষ্ট হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, দুই নৌপথে ৮৬টি লঞ্চ চালু আছে। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো চলছে। দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর চাপ কম থাকলেও ঢাকামুখী যাত্রীর বেশ চাপ।