রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে কালাম রিয়েল এস্টেট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে ফয়সাল আবাসন ব্যবসার কথা বলে গুলশান-১ নম্বরের একটি বাড়ি ভাড়া নেন। সেই বাসায় সবার অগোচরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন ফয়সাল। সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য আসে। ওই বাসার আলমারি থেকে শুরু করে সব জায়গায় মদের বোতল পাওয়া গেছে।
এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ফয়সালসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়। আটক বাকি দুজন হলেন—গাড়ি চালক ইব্রাহিম ও আলম। এছাড়া দুইটি গাড়িও জব্দ করে অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গুলশান-১ এর ১২৮ নাম্বার রোডের ৬ নাম্বার বাসায় অভিযান শেষে এসব কথা বলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান। অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাশেদুজ্জামান ও তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
জব্দ করা মদের বোতল। ছবি: সংগৃহীত
রাশেদুজ্জামান বলেন, আবাসন ব্যবসার আড়ালে ফয়সাল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। তার বাসার আলমারি থেকে শুরু করে সব জায়গায় মদের বোতল পাওয়া গেছে। তারা এসব মদ কোথা থেকে সংগ্রহ করতেন কিংবা তাদের কাছে কারা পৌঁছে দিত তা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। আমরা মাত্র তাদেরকে আটক করেছি, জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, ফয়সালের কাছে ২০০৯ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকের লাইসেন্স থাকলেও পরবর্তীতে তা নবায়ন করেননি। আর মাদকের নিজস্ব লাইসেন্স থাকলে সে বিষয়টি পরিপ্রেক্ষিতে এত মাদক মজুদ কিংবা সংরক্ষণ করার আইনগত কোনো বৈধতা নেই। এছাড়া গুলশান এক নম্বরের ১২৮ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাসা ছাড়াও ১১৩ নম্বর রোডের কালাম রিয়েল এস্টেটের একটি অফিস থেকেও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ সময় দুটি গাড়িও জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গুলশান ১ এর ১২৮ নম্বর রোডের এই বাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪৯ বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।