বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা শেষ হলেও চলবে অনলাইন ক্লাস

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ২১:১৩

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খসড়া ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালায় সশরীর ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাঠদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী সশরীর পাঠদানের সুযোগ বঞ্চিত হলে রেকর্ডেড ক্লাস থেকে লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের সুযোগ থাকবে।

করোনামহামারি শেষ হওয়ার পরেও সশরীরের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস নিতে একটি নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে এই নীতিমালা করা হয়েছে।

বুধবার অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতির নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।

এদিন ইউজিসি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালাটি সরকারের অনুমোদনের জন্য শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খসড়া ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালায় সশরীর ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাঠদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী সশরীর পাঠদানের সুযোগ বঞ্চিত হলে রেকর্ডেড ক্লাস থেকে লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের সুযোগ থাকবে।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘এই নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ক্লাসরুমের শিক্ষা বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে। শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। এটি শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

তিনি বলেন, ‘মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা প্রণয়ন দেশের জন্য এটি মাইলফলক এবং এটি উচ্চশিক্ষার জন্যও একটি বড় অর্জন। ব্লেন্ডেড লার্নিং চালু থাকলে ভবিষ্যতে যে কোনো বিপর্যয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব।

ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রফেসর ড. কাজী মোহাইমিন আস-সাকিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আ. ফ. ম. সাইফুল আমিন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোজ্জাম্মেল হক আজাদ খান, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সাদেকুল ইসলাম ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. আরশাদ মাহমুদ চেীধুরী।

এছাড়া আরও যুক্ত ছিলেন কমিশনের স্ট্রাটেজিক প্লানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর