কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি আরও ১০ সেন্টিমিটার কমেছে। সেই সঙ্গে পদ্মার প্রধান শাখা নদী গড়াইয়ে কমেছে ৯ সেন্টিমিটার পানি। এ দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে সতর্কতা স্তর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বেড়েছে ভাঙন।
বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ দুটি নদীর পানি কমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা ও গড়াইয়ের কয়েকটি পয়েন্টে পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন সেসব এলাকার বাসিন্দারা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, পদ্মায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। আগের দিনের চেয়ে এখানে আরও ১০ সেন্টিমিটার কমে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৩ দশমিক ৯৫ মিটার উচ্চতায়।
আর গড়াই নদীতেও রেল ব্রিজ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে পানি যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৬ মিটার উচ্চতায়। পানি কমতে থাকায় এ দুই নদীর উপকূলে ভাঙন বেড়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দীন বলেন, ‘নতুন করে চাপড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে পাউবোর বাঁধ গড়াই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গড়াই পাড়ে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।
‘অনেকেই বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলছে।’
উজানের ঢল আর পদ্মার পানিতে প্লাবিত হওয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৪০টি গ্রামের বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
পানি কিছুটা কমলেও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আরও ত্রাণ প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুতই সেগুলো পৌঁছে দেয়া হবে।