দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে রংপুর সিআইডির তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আটক করা হলেও বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়।
আটক তিনজন হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান।
তিনি জানান, আটক এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনের ছুটিতে ছিলেন। তারা কোনো একটি অভিযোগের তদন্তে দিনাজপুর গিয়েছিলেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে তারা অপারেশনে যায়। আটক হবার পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ তা আমি জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানি না।’
যাদের অপহরণ করা হয়েছে, তারা চিরিরবন্দরের লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তান।
লুৎফরের ভাগনে শামসুল আলম মানিক নিউজবাংলাকে জানান, চিরিরবন্দরের পলাশ নামের এক ব্যক্তি লুৎফরের বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনাটি চলতি মাসের শুরুর দিকের।
সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান তারা।
মানিক আরও জানান, তাকে ফোন করে লুৎফরের স্ত্রী-সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলেন তিনি। এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানিয়ে রাখেন।
সিআইডির ওই পুলিশ সদস্যরা বাশেরহাটে পৌঁছালে জেলা পুলিশ তাদের আটক করে চিরিরবন্দর থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদের সদরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।