মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের জন্য এ বছর ২ হাজার শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছে ভারত। এর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’-এর আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।
২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন এই প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষার্থী বাছাইয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।