প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের পাঁচ দিনব্যাপী ক্যাম্প শেষ হয়েছে।
অনলাইনে শুক্রবার ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। সমাপনীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন, মুনির হাসান ও প্রফেসর ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের অনলাইন ইভেন্টে অংশ নেবেন।
সমাপনীতে স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, ‘তরুণ সমাজের ও স্কুলপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা অনেক জরুরি। সে জন্য আমরা তাদের জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু উৎসব আয়োজন শুরু করেছি।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অলিম্পিয়াড অনেক প্রশংসনীয়।’
বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘আজকের তরুণরা ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ফলের সম্মুখীন হবে। তাদের এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গরিব দেশগুলো দায়ী না হলেও এর ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।’
বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে আমাদের মেধা, জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডগুলোতে অনেক ভালো করছে। তাদের একটু সুযোগ করে দিলেই তারা অনেক ভালো অর্জন এনে দিতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে দুজন ক্যাম্পার নুরেন তাসনিম ও নাইমুল ইসলাম তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, এই ক্যাম্পে যুক্ত হয়ে তারা খুব আনন্দিত। ক্যাম্প থেকে তারা জলবায়ু, কেসস্টাডিসহ আরও নানান বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে পারছেন। তারা আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডে ভালো করতে আশাবাদী।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহসভাপতি মুনির হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই তার জায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে কাজ করতে হবে। স্ক্রিন আসক্তি কমিয়ে কীভাবে আরও ভালোভাবে বাস্তব যোগাযোগ ও পড়াশোনা চালানো যায়, সেটা খুঁজে বের করতে হবে।’
১৬ জুলাই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়। দেশের সব জেলা থেকে ১৪-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়ে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে।
যেখানে প্রথম রাউন্ডে ১ হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থী থেকে জাতীয় পর্বের জন্য মোট ২৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। জাতীয় পর্বের অংশগ্রহণকারীদের থেকে ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সারা দেশ থেকে এই ৫০ জন বিজয়ীকে নিয়ে ২৬-৩০ জুলাই ৫ দিনব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পে মেন্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ভলান্টিয়ারসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।