‘কনটেন্ট ক্রিয়েশন আমার জন্য খুবই নতুন একটি ব্যাপার। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের নিয়ে কাজ করতে পারার অভিজ্ঞতা জীবনের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে’- নিউজবাংলা গপসপে এসে জানান এনায়েত চৌধুরী।
ব্যাখামূলক ভিডিও তৈরি করার কাজ করে থাকেন এনায়েত চৌধুরী। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আজকের জনপ্রিয়তার বাজারে এ ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েশন কখনও ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে কিনা। উত্তরে এনায়েত বলেন, ‘একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর যখন কনটেন্টটা তৈরি করে, সেটা তার লাইফস্টাইলের কাছাকাছি হতে হয়। আমি যখন শুরু করি তখন আমার মাথায় আসে, আমি কি নিয়ে কনটেন্ট বানালে আমার লাইফস্টাইলের সঙ্গে মিলবে।’
‘আমি প্রতিনিয়ত যা দেখি, তা নিয়েই কথা বলার চেষ্টা করি। যেমন, আমি মার্কিন নির্বাচনের সময় জো বাইডেন এবং ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যা হচ্ছিল তা আমি প্রতিনিয়ত খেয়াল করছিলাম। আমি যদি কনটেন্ট ক্রিয়েটর না হতাম তাও কিন্তু আমি সেটা করতাম। পরে সেটা নিয়ে হয়তো ফেসবুকে একটা পোস্ট লিখতাম। তা না করে এখন একটা ভিডিও বানিয়ে ফেলি।’
ব্যাখামূলক ভিডিও এর আগে কেউ বাংলাদেশে বানানোর চেষ্টা করেনি- এটা এনায়েতের মৌলিক চিন্তা ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু করতে যাব না যেটা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। মানুষ দেখে অভ্যস্ত না এমন কিছু আমাকে বানাতে হবে। সেখান থেকেই এই ভিন্ন জায়গাটা বেছে নেয়া।’
এনায়েত তার ভিডিওতে যে কথাই বলেন না কেন, তার পেছনের তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়েই বলেন। ফলে প্রতি সপ্তাহে কনটেন্ট দেয়াটা তার কাছে চাপ মনে হয় কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন গবেষক। আমাকে প্রতিনিয়ত গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে হয়। সেখানে আমি একটা লাইন লিখলেও তার পিছনে সঠিক তথ্যের প্রমাণ থাকতে হয়। ফলে ভিডিওর ক্ষেত্রেও আমার একই জিনিস মনে হয়। আমি যেই তথ্যটা দেব, তা যেন প্রমাণিত হয়। যেন মানুষ সঠিক জিনিসটাই শুধু জানতে পারে।’
রোস্টিং ভিডিও বানানো এনায়েতের জন্য কষ্টের কাজ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য বরং রোস্টিং ভিডিও বানানো কষ্টের কাজ হবে। আমি একবার বৈজ্ঞানিক রোস্টিং ভিডিও বানানোর চেষ্টা করেছিলাম। পরে দেখলাম ওটা বানানো আমার জন্য বেশ কঠিন।’