নতুন বছরে আমাদের সবার আশা, ২০২০ সালের সব বিষ কেটে যাবে; শুরু হবে নতুন যাত্রা।
নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ শো নিউজবাংলা গপসপ- এ আশার কথা বলছিলেন ‘কিটো ভাই’ এর কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাশরুর ইনান।
নতুন বছরের প্রথম শোতে এসে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। বলেছেন, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়েই কাটবে তার সময়।
গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে বরিশালের ভাষায় একটি গান গেয়ে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পান কিটো ভাই। যেখান থেকেই মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে কিটো ভাই পেজের।
মাশরুর ইনান এখন বেশি পরিচিত কিটো ভাই নামেই।
কিটো ভাই এখন কী নিয়ে ব্যস্ত- এ প্রশ্নে নিউজবাংলা গপসপকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখন প্রচুর মানুষ আমাকে দেখছে। ফলে অবশ্যই আমার এমন কিছু ভালো কাজ করতে হবে যেটা মানুষকে আরও আটকে রাখতে পারবে। কিটো ভাইকে আজকে দর্শক যেখানে দেখছে কিটো ভাইয়ের নিজের সেই সীমানা অতিক্রম করে যেতে হবে।
‘আমার শুরুটা হয়েছিল একদম অনভিজ্ঞদের মতোই। ফলে ধীরে ধীরে গুছিয়ে কাজ করাটা আমার শিখে নেয়া লাগছে। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’
নতুন বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে মাশরুর ইনান বলেন, ‘ইতিমধ্যেই জুবায়ের হালিম হিসেবে দর্শক আমাকে দেখেছে। মূলত ব্যাচেলর পয়েন্ট নামে একটি নাটকে আমার ক্যারেক্টার ছিল। ২০২১ সালে নতুনভাবে কিটো ভাই আসছে পাপ্পু ভাই হিসেবে। আমার মধ্যে বেশ উত্তেজনা কাজ করছে চরিত্রটি নিয়ে।’
পাপ্পু ভাই চরিত্র নিয়ে আর কিছু জানাতে চাননি তিনি।
বরিশালের ভাষার প্রথম গানটির পেছনের গল্পও নিউজবাংলা গপসপকে শুনিয়েছেন তিনি।
মাশরুর ইনান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের গান মানুষকে অনেক তাড়াতাড়ি কানেক্ট করতে পারে। আমি শুরুতে অনেক কথা-বার্তা বলে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। কোনো লাভ হয় নাই।’
এ সময় বরিশালের ভাষা মিশিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাই একটা কতা কই হুনেন, বাঙালির সোজা আঙুলে কোনোদিন ঘি উডে না। আম্নের আঙুলটা বাকাইতে অইবই। সেইটা করতে গিয়া গানটা গাইয়া ফেলছি।’
গান গাওয়ার শুরুর প্রসঙ্গে কিটো ভাই বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি একদিন একটা গিটারের দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি একটা ছোট গিটার। দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমার অনেক কিউট মনে হলো।
‘কিউট গিটার ভেবে কিনে ফেললাম একটা ইউকুলেইলে। তখন থেকেই টুং-টাং বাজানো শুরু করলাম। এরপর একটা করে লাইন মাথায় আসছে আর একটা করে লিখে ফেলছি। হয়ে গেল আর কী!’