নিজের প্যাশন থেকে প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। সেইখানে রিভিউ ভিডিও বানানো শুরু। পরে দেখা গেল যে এটা করে মানুষকে খুব বেশি আনন্দ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে চলে গেলেন ফেসবুকে। হাস্যরসাত্মক ভিডিও বানানোর জন্য নানান ক্যারেক্টার প্লে করা শুরু করলেন শিশির।
‘নিউজবাংলা গপসপ’ এ এসে নিজের ব্যাপারে এসব কথা বলেন ‘হেই ব্রো ক্লাবের’ কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিশির রহমান।
শিশির বলেন, ‘আমি যখন প্রথম শুরু করি, আমার তখন কোনো বন্ধু ছিল না, কোনো ক্যামেরা ছিল না। আমার হাতে ছিল শুধু একটা মোবাইল ফোন। এই একটি জিনিস নিয়ে আমি এমন একটা কিছু করতে চাইলাম যেটাতে একটা গল্প থাকবে।
‘সেইটা থেকেই আমি এক একটা ক্যারেক্টার প্লে করা শুরু করলাম। আমার ক্যারেক্টারগুলো ভিন্ন ভিন্ন দুনিয়ায় বাস করে। প্রত্যেক ক্যারেক্টারের চিন্তা-ভাবনা, কথা বলার ধরন, লুকস সবই আলাদা। ফলে এইরকম আলাদা আলাদা সবকিছুকে নিয়ে একটা কিছু করা।’
কনটেন্ট ক্রিয়েশনে শিশির কাকে ফলো করেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমি সালমান মুক্তাদিরকে প্রথমে ফলো করা শুরু করি। এরপর ধীরে ধীরে আমি ইন্ডিয়ান ইউটিউবারদের দেখলাম। বি বি কি ভাইন্স, আশিস চাঞ্চালি এদেরকে আমি ফলো করা শুরু করি। বি বি কি ভাইন্সকে দেখে মনে হত যে, ও তো নিজেই সবকিছু করে। আমিও চেষ্টা করলে মনে হয় পারব।’
নিজের কাজগুলো কীভাবে একা হাতে করেন – এর উত্তরে শিশির বলেন, ‘আমার ভিডিওতে যতগুলো ক্যারেক্টার থাকে, আলাদা আলাদা দিনে আমি প্রতিটা শুট করি। শুট করা হয়ে গেলে নিজেই পরে এডিট করে ফেলি। এই জন্য দেখা যায় দর্শক প্রতিদিন আমার কনটেন্ট পায় না। আমি সপ্তাহে একটা করে ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করি।’
নিউজবাংলার স্টুডিওতে সৃজন ঘোষের সঙ্গে শিশির রহমান
ছাত্রদের কেন্দ্র করে এতো ভিডিও তৈরি করার কারণ জানতে চাওয়া হয় শিশিরের কাছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি নিজেই একজন ছাত্র। ছাত্ররাই আমার সবচেয়ে বড় দর্শক। কারণ খুব সহজে তারা আমাকে রিলেট করতে পারে। ছোটবেলা থেকে আমি ক্লাসে যা যা করেছি, সেগুলো আমার মাথায় আছে। আমার ধারণা, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ছাত্রের সাথেই এমনটা ঘটেছে। ফলে আমার কনটেন্টের মধ্যে ছাত্রজীবন নির্ভর কনটেন্টের পরিমাণ বেশি।’
র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে শিশিরকে প্রশ্ন করা হয় যে, অনন্ত জলিল ও হিরো আলমের মধ্যে কে আসল হিরো। এর জবাবে শিশির বলেন, ‘তার কাছে হিরো আলমকেই বাংলাদেশের আসল হিরো মনে হয়।’
শিশিরকে রাবা খান ও কারিনা কায়সার দুইজনের ভিডিও দিয়ে একজনের ভিডিও দেখতে বলা হলে শিশির রাবা খানের ভিডিও দেখবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘রাবা খানকে আমার বেশিই ভালো লাগে।’