তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত দল ‘টাইম ট্রাভেলার্স’।
প্রতিযোগীতায় রানার্স আপ হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত দল ‘অ্যানিথিং ওয়ার্কস’।
দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে ‘গো ফর ইট’। এর সদস্যরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষার্থী।
কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ ও কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ধাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে সোমবার তিন দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্ল্যাটফর্মটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বেকারত্বের সমাধানও নিশ্চিত করছে, যা বাংলাদেশ সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণরা যেন সঠিক জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
‘তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সঠিক প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিশীলতা, আবিষ্কার, প্রতিযোগীতা, উৎসাহ, নেটওয়ার্কিং- হচ্ছে সমৃদ্ধির মূল মন্ত্র, যা জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে।’
সমাপনীতে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ্ মুনিম বলেন, ‘হাতে হাত ধরে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। এটাই এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র। গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ব্যাটেল অব মাইন্ডস দেশজুড়ে কয়েক হাজার মেধাবী তরুণদের এমন একটি প্লাটফর্ম প্রদান করেছে, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে।’
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এ বছর ১৭তম আসর ভার্চুয়ালি হয়েছে। সেখানে দেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন করে। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মৌলিক এবং উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আসে।