‘যখন কোনো কিছু খুব খারাপ হচ্ছে, তখন প্রতিটা কনটেন্ট ক্রিয়েটরের উচিত তাদের জায়গা থেকে একটা ভয়েস রেইজ করা। যখনই কোনো একটা ইস্যু তৈরি হচ্ছে এবং আমার মনে হচ্ছে এটা ঠিক নয়, আমার কিছু বলা উচিত, তখন মজার ছলেই হোক বা সিরিয়াসলি হোক, আমি আমার নিজের স্ট্যান্ড প্রকাশ করি’ – বলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শামস আফরোজ চৌধুরী।
‘থটস অব শামস’ নামে জনপ্রিয় ফেসবুক কন্টেন্ট পেজের এ ক্রিয়েটর গত শনিবার হাজির হয়েছিলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডট কমের নিয়মিত আয়োজন ‘নিউজবাংলা গপসপ’-এর সর্বশেষ পর্বে।
২০১৮ থেকে ফেসবুকে মজার ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন শামস। তার কন্টেন্ট কিছুটা ব্যতিক্রমী। তিনি বেশ কিছু কাল্পনিক চরিত্রের একটি পরিবারের গল্প দেখান। প্রতিটি চরিত্রে নিজেই অভিনয় করেন।
তার চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘আম্মা’। অন্যান্য জনপ্রিয় চরিত্র হলো, শামসু, চাচা, নানী, পাশের বাড়ির আন্টি।
এত চরিত্র কীভাবে ধরে রেখেছেন, জানতে চাইলে শামস জানান, তিনি খুব মজা নিয়ে তার কাজ করেন। তাই বিষয়টি তার কাছে তেমন কঠিন মনে হয় না। কিছুটা কল্পনা, কিছুটা আশপাশের মানুষকে দেখে তিনি একের পর এক চরিত্র আনছেন।
তবে এত চরিত্রের মধ্যে নিজেকে কখনও হারিয়ে ফেলেন না কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করা শামস।
পাশের বাড়ির আন্টির চরিত্রটি দেখে তার নিজের পাশের বাড়ির আন্টিদের প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে হেসে উত্তর দেন, ‘আমার তো মনে হয় সব পাশের বাড়ির আন্টিরা সামনে পেলে আমার ওপর খুব চড়াও হয়ে যাবে। এখনই ক্ষ্যাপা সব।’
শামস বলেন, ‘যখন কেউ বলে আমার মা আপনার খুব ফ্যান। আমি, আমার মা, বাবা মিলে আপনার ভিডিওগুলো দেখি তখন খুব ভালো লাগে। আবার দেখা যায়, অনেকে বলে “আপু আমার তিন বছরের বাচ্চা, ও কী বোঝে জানি না কিন্তু আপনার ভিডিও অন করলে চুপ করে মন দিয়ে দেখে”, সেগুলো আবার আপুরা ভিডিও করে পাঠায় তখন মন ছুঁয়ে যায়।’
শুরু থেকেই মা এবং স্বামীর পুরো সহযোগিতা পেয়েছেন শামস। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করেছেন। হতে চেয়েছিলেন ব্যাংকার। তবে এখন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার পর ব্যাংকার হতে না পারা নিয়ে কোনো আফসোস নেই। বরং তিনি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়েই বেশি খুশি।
র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে শামস দিয়েছেন মজার কিছু উত্তর। তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং শাহরুখ খানের ফ্যান। শাহরুখের প্রিয় সিনেমা ম্যায় হু না।
কন্টেন্টে রিচ কম হলেও অত দুঃখ পাবেন না, যতটা পাবেন ব্যাংক থেকে টাকা চুরি হলে। সিরিয়াল দেখেন না শামস। তবে স্টার জলসার তিতলি যেহেতু উড়োজাহাজ উড়িয়েছে তাই তিনি জবা নয়, তিতলি হতে চান।
বাড়িতে থাকতে ভালোবাসেন বলে লকডাউনে তার বেশি অসুবিধা হয়নি। এমনকি শামসের ফেভারিট হলিডে ডেসটিনেশন ‘বাসা’।
অনেকেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু শামস বিষয়টি খুব ইতিবাচকভাবে দেখেন। ভালো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। স্পন্সররা তাদের ওপর কোনো চাপ দেন না। বেশ মিলেমিশে প্রোডাক্ট প্রমোট করেন। তাই কন্টেন্টে এর কোনো খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।