বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যারিস্টার সুমনের নেশা তার পেশার চেয়েও বড়

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০৯

‘আমার নেশাই হচ্ছে মানুষের সঙ্গে থাকা। মানুষের সাথে থাকতে হলে আপনাকে মানুষের কথা শুনতেই হবে। এভাবে থাকার অভ্যাস যদি অনেক দিনের হয়, তাহলে সবসময় যে মানুষের চিৎকার শুনবেন তা না, আপনি মানুষের নীরবতার ভাষাও বুঝতে পারবেন।’  

পেশার জন্য যে কাজ করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি হৃদয় দিয়ে নেশাগত কাজগুলো ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন।

তার ভাষায়, ‘আমার নেশাই হচ্ছে মানুষের সঙ্গে থাকা। মানুষের সাথে থাকতে হলে আপনাকে মানুষের কথা শুনতেই হবে। এভাবে থাকার অভ্যাস যদি অনেক দিনের হয়, তাহলে সবসময় যে মানুষের চিৎকার শুনবেন তা না, আপনি মানুষের নীরবতার ভাষাও বুঝতে পারবেন।’ 

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজবাংলা টোয়েন্টফোর ডটকমের নিয়মিত আয়োজন ‘নিউজবাংলা গপসপ’-এ এসে এসব কথা বলেন সুমন।

তিনি বলেন, ‘আমি যে ফুটবল খেলি, পাবলিক ইন্টারেস্টে যে মামলা করি, সেইগুলোও কিন্তু আমার নেশার মধ্যে পড়ে। আপনার নেশাটা যদি পেশার চেয়েও শক্তিশালী হয়, তখন সবকিছুকেই আপনি এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারবেন।’

নিজেকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান, এ প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘মানুষের কষ্টে পাশে দাঁড়ানোই আমার প্রায়োরিটি লিস্টে সবার উপরে থাকবে। ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকাও মূলত আমার মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যে পড়ে।

‘এই বয়সে এসে আমার ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকার কিন্তু কোনো কারণ নাই। তাও আমি পড়ে আছি কারণ মাদকাসক্তি থেকে তরুণদের মুক্তি দেয়ার জন্য তাদের মাঠ তো দেয়া লাগবে। আমি ফুটবল অ্যাকাডেমি করে তরুণদের মাঠে খেলার সুযোগ করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো উদ্যোক্তাও না, আমি তো ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নই কিংবা ভবিষ্যতে নেতা হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা আমার নেই।’

এ আইনজীবী বলেন, ‘আমি তো আর প্রতি স্কুলে স্কুলে গিয়ে মাঠ বানায়ে আনতে পারব না; বরং ফুটবলটাকে গণজাগরণের দিকে নিয়ে আসি। ফুটবলের যখন জাগরণ হবে তখন ফুটবল নিজেই দাবি করবে আমার মাঠ দরকার।’

ফুটবল ফেডারেশনের রাজনীতির কথা বলতে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের জনগণের পুঞ্জীভূত চাপকে আমলে নিতেই হবে। আগে তো ফেডারেশনে নির্বাচনই হতো না। সিলেকশনের মাধ্যমে ফেডারেশনের নেতা নির্বাচিত হতো। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো ১৬ বছর ধরে এক লোকই ফেডারেশন প্রধান হয়ে বসে আছেন। কিন্তু দেশের ফুটবল দিন দিন নিচের দিকে যাচ্ছে।

‘মানুষের তো নৈতিকতার জায়গা থেকে হলেও সরে যাওয়া উচিত। অন্য কোথাও হলে এই মানুষ নিজেই পদত্যাগ করত। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের এই এক সমস্যা। অপমানিত না হওয়া পর্যন্ত এরা পদ ছাড়তে চায় না।’

ব্যারিস্টার সুমন মনে করেন, ‘মানুষের সবচেয়ে বড় বিচারের জায়গা হচ্ছে তার বিবেক। সে যদি তার বিবেকের কাছে না আটকায়, তাহলে তো সে নেতা হওয়া দূরের কথা, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সে তো কিছু রেখে যেতে পারবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর