বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিন্নির আপিল গ্রহণ, অর্থদণ্ড স্থগিত

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১১

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ আসে বরগুনার একটি আদালত থেকে। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় খালাস চেয়ে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আপিল গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। স্থগিত হয়েছে অর্থদণ্ড।

বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

মিন্নির আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই বেঞ্চে এ মামলার অপর আসামি মোহাইমেন ইসলাম সিফাতের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে।

এর আগে তিন আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান ও মো.রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।

নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। তখন এ মামলার শুনানি শুরু হবে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে

 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

রায়ে মিন্নিসহ ছয় জনের মৃত্যুণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আসে।

 

এর দুই দিন পর মিন্নির পক্ষে হাই কোর্টে আপিল করা হয়। এতে ২১টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয়।

পরে আপিল করেন দণ্ডিত আরও পাঁচ আসামি মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন দেখা যায়, মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

রিফাত শরীফের বাবার করা মামলায় মিন্নিকে প্রধান সাক্ষীও করা হয়।

পরে পুলিশ জানায়, এটি ছিল মিন্নির ‘অভিনয়’। খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি স্বামীকে খুন করিয়েছেন। তার এই দ্বৈত ভূমিকার তথ্যে মামলাটি নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়।

বিচারক তার রায়ে মিন্নিকে এই হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। বিচারক আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেয়ার কারণ উল্লেখ করে তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে যুবসমাজের ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

 

তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর রায়ের দিনই আপিল করার কথা জানিয়ে রায় প্রত্যাখ্যান করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমার মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’

প্রকাশিত ভিডিওতে মিন্নির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তার বাবা বলেন, ‘সারাবিশ্ব দেখেছে মিন্নি তার স্বামী রিফাতকে বাঁচানোর জন্য জীবন বাজি রেখে অস্ত্রের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর