বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১৫

থাইল্যান্ড মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অমান্য করে দুই দেশের বিতর্কিত সীমান্তে ‘ভৌতিক শব্দ’ সম্প্রচার করছে। গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে বলে অভিযোগ।কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলছে, থাই সেনাদের এই ‘ভৌতিক শব্দ’ সম্প্রচার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার হুমকি সৃষ্টি করেছে। কম্বোডিয়ার সিনেট প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানান, তিনি মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদিকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।তারা জাতিসংঘে থাইল্যান্ডের উচ্চ-মাত্রার শব্দ ও কর্কশ আওয়াজ বাজানোর বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘেও অভিযোগ তুলেছে বলে জানান হুন সেন।চিঠিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন- থাই সেনারা রাতভর লাউডস্পিকারে ‘ভূতের আর্তনাদের মতো শব্দ’ বাজাচ্ছে, যার সঙ্গে কখনো বিমান ইঞ্জিনের গর্জনের শব্দর মতোও হয়।গত শুক্রবার থেকে টানা চার রাত কম্বোডিয়ার সেরেং ও প্রে চ্যান সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা এসব ভয়ানক শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের ভয়ংকর শব্দ দীর্ঘসময় ধরে বাজানোয় সীমান্তের মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে, মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে, এমনকি শারীরিক অস্বস্তিও তৈরি হচ্ছে।গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে হুন সেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে।থাই নাগরিক কাননাওয়াত পংপাইবুলওয়েচ। তিনি ‘কান চমপালাং’ নামে পরিচিত, তিনি এই ‘ভৌতিক শব্দ’ ও সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।গত শুক্রবার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিনি থাই সীমান্তবর্তী গ্রাম বান নং চান ও বান নং ইয়াকা-এ ভূতের সিনেমা এবং ভয়ানক শব্দ প্রচার চালান। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে এই প্রচার চালানো হয়, যার লক্ষ্য ছিল থাই ভূখণ্ডে বসতি গড়ে তোলা কম্বোডিয়ানদের সরে যেতে বাধ্য করা।কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী নেথ ফিয়াকত্রা বলেন, ‘এটি একটি গুরুতর শব্দদূষণ এবং মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কেন এমন নিষ্ঠুরতা?’ তবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চর্ণভিরাকুল বলেন, ‘শব্দ ব্যবহার করে কম্বোডিয়ানদের রোধ করা আন্তর্জাতিক মহলে থাইল্যান্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে বলে আমি মনে করি না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই এটা করেছি।’ থাই সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, সব কার্যক্রম থাই ভূখণ্ডেই হয়েছে।বুরাপা টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার বেনজাপল ডেচাতিওয়ং বলেন, ‘তারা যা খুশি অভিযোগ করুক, আমরা থাই মাটিতেই কাজ করেছি। আমার সেনারা সারা রাত পাহারা দিচ্ছে, তাদের জেগে রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা। এটা আমাদের জমি। ওরা যা খুশি মামলা করুক, আমার কিছু যায় আসে না।’গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে ডজনখানেক মানুষ নিহত হন এবং ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। জুলাই ২৮ তারিখে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।

এ বিভাগের আরো খবর