বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে?

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:০৯

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও নানা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যে টিটিপি নিয়ে এ সীমান্ত সংঘাতের সূত্রপাত, তারা কি ভবিষ্যতে পাকিস্তানে হামলা চালাবে না, কিংবা আফগানিস্তান কি তাদের আশ্রয় দেবে? যদি হামলা হয়, তাহলে ইসলামাবাদের জবাব কী হবে?

২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে তালেবান। এরপর থেকে দেশটির বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের অভিযোগ, সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে তারা। এ প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে কয়েকশ লোক নিহত হন। এ নিয়ে দোহায় শান্তি আলোচনার পর উভয় দেশই যুদ্ধ বন্ধ করে ‘স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ দিকে কাজ করতে সম্মত হয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা জানায়, কাতারের রাজধানী দোহায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এক দফা আলোচনার পর ‘উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতি এবং দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুসংহত করার জন্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়। দুই পক্ষই আগামী দিনে অস্ত্রবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং নির্ভরযোগ্য ও টেকসই পদ্ধতিতে এর বাস্তবায়ন যাচাইয়ের জন্য পরবর্তী বৈঠকেও সম্মত হয়েছে। ফলে উভয় দেশে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনে অবদান রাখা সম্ভব হবে।

অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি

সৌদি আরব এ অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরব সব অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে উৎসাহিত করে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সৌদি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন গাল্ফ কো-অপারেটিভ কাউন্সিলের মহাসচিব জাসেম মোহামেদ আলবুদাইয়িও।

‘অস্ত্রবিরতি সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূলে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে’

আলজাজিরা আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধের লক্ষ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে। কাতারের আমির, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তুর্কি প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, কাতার ও তুর্কির মধ্যস্থতার মাধ্যমে এ চুক্তি হয়েছে।

খাজা আসিফ বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো- সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা, যা বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত অঞ্চলগুলোকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তিনি স্বীকার করেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সম্প্রতি সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে উভয় পক্ষই এখন একমত যে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসবাদ নির্মূল অপরিহার্য। আসিফের মতে, উভয় দেশ নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলা ও ভবিষ্যতের শত্রুতা প্রতিরোধের জন্য একটি যৌথ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করার জন্য পরবর্তী দফা আলোচনা আগামী সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর