বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লেবাননের মতোই হবে গাজার পরিণতি?

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪০

গাজায় তথাকথিত যুদ্ধবিরতির পরও অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা। অবরুদ্ধ উপত্যকায় এখনো পড়ছে বোমা, ঝরছে প্রাণ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, গাজার পরিণতি কি তবে লেবাননের মতোই হবে?গত ১১ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে এক সিরীয় পথচারী নিহত এবং সাতজন আহত হন, ধ্বংস হয় কোটি কোটি ডলারের খনন ও নির্মাণ সরঞ্জাম।এই হামলা অনেক দেশের জন্য অস্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলা হয়ে আসছে। ১১ মাস আগে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি হলেও প্রকৃত শান্তি আজও অধরা।মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোনা ইয়াকুবিয়ান বলেছেন, লেবাননের পরিস্থিতি ‘লেসফায়ার’ বা অর্ধ-সংঘাতের মতো। ইসরায়েল যখন খারাপ প্রভাব মনে করবে, তখন হামলা চালাতে পারে ফের পূর্ণ যুদ্ধ শুরু ছাড়াই। তার মতে, গাজার শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর লেবাননের হিজবুল্লাহও রকেট নিক্ষেপ করেছিল। জবাবে ইসরায়েল বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ করে। শুরুর দিকের ‘নিম্ন-স্তরের সংঘাত’ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নেয়।এর কয়েক সপ্তাহ পরে ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি অনুসারে, লেবাননকে নিশ্চিত করতে হবে, কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে আক্রমণ করবে না এবং ইসরায়েলকে ‘আক্রমণাত্মক’ অভিযান বন্ধ করতে হবে। তবে চুক্তিতে ‘নিজের প্রতিরক্ষা’ বিষয়ে অস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।বাস্তবে, ইসরায়েল হামলার দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছে। লেবানন দাবি করছে, হামলায় নিরীহ নাগরিক ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, শান্তিচুক্তির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২৭০ জনের বেশি লেবানিজ নিহত এবং প্রায় ৮৫০ জন আহত হয়েছেন।‘গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যা ছাড়া কিছু নয়’ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ‘গণহত্যা ছাড়া কিছু নয়’। তিনি চলমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলের কঠোরভাবে সমালোচনা করে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা গণহত্যা চালাচ্ছে তাদের যেন জবাবদিহি থেকে রেহাই না দেওয়া হয়।শুরা কাউন্সিলের (কাতারের আইনসভা) উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কাতারি আমির বলেন, দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো ফিলিস্তিনি জনগণের বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সম্মান ও মানবাধিকার প্রয়োগে ব্যর্থ।তিনি আরও বলেন, আমরা আবারও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সব ধরনের লঙ্ঘন ও নিপীড়নের নিন্দা জানাই-বিশেষ করে গাজা উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করা, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণকে ইহুদিকরণের প্রচেষ্টা। শেখ তামিম জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনের ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।এদিকে গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পুনরায় কার্যকর করতে সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন শীর্ষ দূত। নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।রোববার এক ফিলিস্তিনির হামলায় দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনার পরও ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় পুনরায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করল যুক্তরাষ্ট্রগাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পুনরায় কার্যকর করতে সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন শীর্ষ দূত। নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রোববার এক ফিলিস্তিনির হামলায় দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনার পরও ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় পুনরায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।তবে টানা সহিংসতা ও উত্তেজনার কারণে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর এই চুক্তি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার এবং গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন নিয়ে এখনও কোনো সমাধান হয়নি।দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত এই চুক্তি রক্ষায় চাপ বজায় রাখছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সোমবার তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।তিনি জানান, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করলেও এর দায় সরাসরি নেতৃত্বের নয়, বরং সংগঠনের ভেতরে কিছু বিদ্রোহীরা সক্রিয় রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যদি হামাস নেতৃত্ব নিজেরা ব্যবস্থা না নেয়, তবে প্রয়োজনে আমরা তাদের নিশ্চিহ্ন করব, তবে এতে মার্কিন স্থল সেনা যুক্ত হবে না।মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও জেয়ার্ড কুশনার সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছে যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল করা এবং ২০ ধাপের শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী কঠিন পর্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।মঙ্গলবার দেশটিতে পৌঁছাবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। নেতানিয়াহু জানান, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হবে।এদিকে সোমবার কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিচুক্তিকে স্থায়ী করার প্রচেষ্টারই অংশ।গাজার ভেতরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হলুদ লাইনের’ কাছে সোমবার ট্যাঙ্ক থেকে হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা। ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, ওই রেখা অতিক্রম করে হামাসের যোদ্ধারা ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলে তারা গুলি চালিয়েছে। গাজার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্পষ্ট সীমারেখা না থাকায় ওই হলুদ লাইন ঘিরে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর